পিথোরাগড়, ২০ মে: পতঞ্জলির শন পাপড়ি মান পরীক্ষায় ফেল। সংস্থার ৩ জনকে জেলে পাঠানো নির্দেশ দিল পিথোরাগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-সহ তিন ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন অভিযুক্তকেই শন পাপড়ি মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়াই জরিমানাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর, খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা পিথোরাগড়ের বেরিনাগের মার্কেটে লীলা ধর পাঠকের দোকানে হানা দিয়েছিল। সেখানেই পতঞ্জলি নবরত্ন এলাইচি শন পাপড়ির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেখান থেকে সোন পাপড়ির নমুনা সংগ্রহ করেছিল খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি
রামনগরের কানাহা জি ডিস্ট্রিবিউটর এবং হরিদ্বারের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছিল। এরপরই ১৮ মে, ২০১৯, শন পাপড়ির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য স্টেট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শন পাপড়ির গুণগত মান অতি নিম্নমানের উল্লেখ্য করে রিপোর্ট দেয় ফরেনসিক ল্যাব।
জানা গিয়েছে, রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই লীলা ধর পাঠক, ডিস্ট্রিবিউটর অজয় জোশী এবং পতঞ্জলির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার অভিষেক কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তরাখণ্ডের খাদ্য সুরক্ষা দফতর। এই মামলার শুনানিতে লীলা ধর পাঠক, ডিস্ট্রিবিউটর অজয় জোশী এবং পতঞ্জলির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার অভিষেক কুমারকে ছ’মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্টের ৫৯ নম্বর ধারার অধীনে অভিযুক্তদের জরিমানা করা হয়। আদালতে রায়ের পরই খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “আদালতে পেশ করা তথ্যগুলি স্পষ্টভাবে প্রমাণ দিয়েছে পতঞ্জলির শন পাপড়ি অতি নিম্নমানের।”
প্রসঙ্গত, রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি একের পর এক মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করে। শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।’’ সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘‘বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ একইসঙ্গে আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশ অগ্রাহ্য করে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়ার জন্য পতঞ্জলিকে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়।