পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব সরানোর কথা ঘোষণা করা হয়। এর পরেই আজ শৃঙ্খলাকমিটির বৈঠকের পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তৃণমূলের সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি।
সেই সঙ্গে অভিষেক জানিয়ে দেন, তৃণমূল এমন একটি দল যা মানুষের জন্য তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সিপিএম, বিজেপির চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না। তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের আদর্শকে সামনে রেখে লড়াই করে।
অভিষেক বলেন, যে অন্যায় করে তৃণমূল তাকে রেয়াত করে না। বিচারে দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক।
অভিষেক আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, তৃণমূলের পাঁচটি পদ থেকে পদ থেকে অপসারিত করা হল। তৃণমূলের মহাসচিব, জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান, জাগো বাংলার সম্পাদক এই সমস্ত থেকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। নবান্ন থেকে শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় এই তিনটি পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
অভিষেক আরও বলেন, এই তদন্ত প্রক্রিয়া যতদিন চলবে, ততদিন এই সাসপেনশন বহাল থাকবে। তবে তিনি যদি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দরজা তার জন্য খোলা আছে।
একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, তৃণমূল এমন একটা দল, যারা ঘটনার ৬ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিল। কারণ তৃণমূল সাধারণ মানুষের সঙ্গে অবিচার হলে তার সঙ্গে আপোষ করবে না।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক বলেন, এই বিপুল টাকার উৎস কি? এত কালো টাকা কোথা থেকে এল? আমরা চাই দ্রুত বিচার হোক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হোক। রাজ্যও সাহায্য করবে।
অভিষেক এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেন, বিজেপিতে গেলেই ধোয়া তুলসিপাতা, ওয়াশিং মেশিনে সব সাফ হয়ে ধুয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কালো টাকা উদ্ধার হলে শাস্তি পেতে হবে। আমি কাউকে আড়াল করতে চাইছি না বলেই মন্তব্য করেন অভিষেক।