পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে অজানা জ্বরের আতঙ্ক। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি এবার হরিয়ানাতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অজানা জ্বর আতঙ্ক। তিন সপ্তাহেই হরিয়ানায় সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও সঠিক কোনও তথ্য জানা যায়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
হরিয়ানার পালওয়াল জেলায় ক্রমশই বেড়ে চলেছে এই আতঙ্ক। এখানকার এক গ্রামে শেষ তিন সপ্তাহে অন্তত সাত জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকের বয়স ১৪ বছরের নিচে। পালওয়ালের পর চিলি গ্রামেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসে একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এখানকার আশেপাশের যা পরিস্থিতি তাতে, ডেঙ্গি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া, গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিস থেকে শুরু করে কোনও ভেক্টর বাহিত রোগ, যে কোনও কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন একজন ইপিডেমিওলজিস্ট, একজন সায়েন্স অফিসার এবং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষকের কথায়, একাধিক শারীরিক সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশেও ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি যে আকার ধারণ করেছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতেও অজানা জ্বর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে প্রায় ১৩০ জন শিশু ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে বাড়িও গিয়েছে। তবে বেশ এই জ্বরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সব শিশুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এই অবস্থায় ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও জাপানি এনসেফেলাটিসের সম্ভাবনাও নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৬ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। ৪ জনকেই রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। অধিকাংশ শিশুই আর এস ভাইরাসে আক্রান্ত। বাড়িতেও অভিভাবকদের মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।