পুবের কলম প্রতিবেদক: বেলজিয়ান ম্যালিনোস প্রজাতির কুকুর এবার আসতে চলেছে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে। এই প্রজাতির কুকুরই সন্ধান পেয়েছিল আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের। আর এই কুকুরের সাহায্য নিয়েই লাদেনকে খতম করতে পেরেছিল আমেরিকার ‘সিল টিম সিক্স’। পাকিস্তানের গোপন ডেরার সন্ধান পেয়ে আমেরিকার ‘অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার’ সফল হয়েছিল এই প্রজাতির কুকুরের সাহায্যেই। এবার এই প্রজাতির কুকুর আসতে চলেছে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে। লাদেনকে ধরিয়ে দেওয়া ম্যালিনোস প্রজাতির কুকুরের নাম ছিল ‘কায়রো’। আর তারই উত্তরসূরী ‘জুয়েল’ আসছে কলকাতা পুলিশে। এদিই তাকে ডগ স্কোয়াডে নিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এই কুকুরের পাশাপাশি কলকাতায় আনা হচ্ছে ল্যাবরাডর ‘গিনি’। ম্যালিনোস প্রজাতির ‘জুয়েল’ এবং ল্যাবরাডর ‘গিনি’ দুজনই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। এখন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বিস্ফোরক থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। সেখানে এই দুটি কুকুর ডগ স্কোয়াডে আসায় অনেক শক্তিশালী হবে কলকাতা পুলিশ। চণ্ডীগড়ে টানা ৬ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের দুই সদস্যকে নিয়ে কালকা মেলের বাতানুকূল কামরায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, কু কুরপ্রেমী এক যুবক তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে একটি মেয়ে বেলজিয়ান ম্যালিনোসকে নিয়ে এসে কলকাতা পুলিশকে উপহার দেন। পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে, এই কুকুর পুলিশের কাজে উপযুক্ত। তারপরই তাকে ডগ স্কোয়াডে নিয়োগ করা হয়। আর ৬ মাস আগে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। বেলজিয়ান ম্যালিনোস হাতে আসলে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এই প্রজাতির কুকুর প্রচণ্ড জোরে দৌড়তে পারে। অনেক উঁচুতে লাফাতে পারে। সঙ্গে আছে প্রচণ্ড বুদ্ধি। অল্প সময়ের মধ্যে শেখার প্রবণতাও আছে। গন্ধ শুঁকে অনেক তাড়াতাড়ি সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে পারে। সব আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম।
আর কী জানা যাচ্ছে? সোমবার ‘জুয়েল’ এবং ‘গিনি’ কলকাতায় এসে পুলিশ ট্রেনিংয়ের ডগ স্কোয়াডে থাকবে। তার পর তারা কাজে যোগ দেবে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসাবে ভিআইপি ডিউটি করবে এই দুই কুকুর। প্রত্যেকদিন দই, ঘোল, গ্লুকোজ খেতে দেওয়া হবে তাদের। তবে তাদের পরানো হবে আইস প্যাক। এমনকী আজ সোমবার থেকেই সুইমিং পুলে দিনে দুবার করে সাঁতার কাটবে তারা। তবে কেন হঠাৎ তাদের আনা হচ্ছে সে বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি।