পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত আইনি রক্ষাকবচ পেলেন সৌমেন্দু অধিকারী। এর আগে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আটটি মামলা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে খারিজ হয়ে গিয়েছে অথবা রক্ষাকবচ পেয়েছেন সৌমেন্দু। এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সিঙ্গেল বেঞ্চের।
সৌমেন্দু অধিকারী আদালত কে জানিয়েছেন, -‘ তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁকে একের পর এক মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে ‘। তাই নির্বাচনের আগে ফের নতুন মামলার মুখে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলের তরফে বেশ কয়েকটি এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমেন্দুকে।
আদালতে সৌমেন্দু আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ আনা হতেই পারে, যার ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানানো হবে না। কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছিল আগেই। কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের ভবন নির্মাণ নিয়ে একটি মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া রাঙামাটি শ্মশান নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জমি থেকে পথবাতি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সৌমেন্দুকেও একাধিকবার তলব করা হয়েছিল কাঁথি থানায়। তবে সে ক্ষেত্রেও হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল সৌমেন্দুকে।
সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না । কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে হলে ১৫ দিন আগে তাঁকে সে বিষয়ে জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। স্বভাবতই এই নির্দেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এর আগে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আটটি মামলা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে খারিজ হয় বা তাতে তিনি রক্ষাকবচ পান। এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত।চলতি সপ্তাহে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে নতুন মামলার মুখে পড়ার আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে বেশ কয়েকটি এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর আশঙ্কা সুযোগ পেলেই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। যার কোনও আগাম খবরও তিনি পাবেন না। এই অবস্থায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আবেদন জানান সৌমেন্দু। তাতে এদিন আইনি রক্ষাকবচ পেলেন সৌমেন্দু অধিকারী আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।