পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নামায নিয়ে অশান্তি বাধাতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের পছন্দ করে। এই হিন্দুত্ববাদীদরা হিন্দুত্বরের উদারতাকে বিদ্বেষে রূপ দিতে চায়। তার ঢালাও প্রচারও তারা করে। গুরগাঁওয়ে বহু দিন ধরেই নামাজ নিয়ে নানা অশান্তি বাধাচ্ছে তারা। তাদের এইসব আশান্তি থেকে রাজনৌতিক ফায়দা অবশ্য একটি দলই তোলে। তার নাম বিজেপি।
গুরগাঁওয়ের ১২এ সেক্টর এলাকার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকদের দাবি, তারা ওখানে ভলিবল কোর্ট তৈরি করবে। আর সেই কারণেই এই স্থানে তারা মুসলিমদের নামায পড়তে দেবে না। জানা গিয়েছে গুরগাঁওয়ে ১৯ টি মসজিদে মুসলিমরা যেতে পারছেন না। তাদের সেখানে নামায পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। মূলত সে কারণেই তারা ফাঁকা জায়গায় নামায পড়তে কার্যত বাধ্য হন। কিন্তু সে ফাঁকা জায়গাতেও হিন্দুত্ত্ববাদীরা নামায পড়তে দিচ্ছে না। শুক্রবারের নামায বন্ধ করে সে জায়গায় তারা আগেই গোবর্ধন পুজো করেছে।পুজোর অনুষ্ঠানে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে। কপিল সেদিন যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে কেবল মেরুকরণই ছিল।নাম না করে মুসলিমদের নিশান করেছিলেন বিজেপি নেতা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সেখানে বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের অন্যতম প্রমীলা চাহার জানিয়েছেন, ”আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বসেই আছি। কিন্তু এখানে প্রার্থনা হতে দেব না। এখানে আমরা খেলব।” আরেক প্রতিবাদী বীর যাদবের কথায়, ”আমরা এখানে নেট টাঙাব। ভলিবল কোর্ট তৈরি করব। বাচ্চারা খেলবে।”
সেক্টর ১২এ এলাকায় নমাজ পড়ার সময় বিক্ষোভ দেখান হিন্দুত্ববাদীরা। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সংগঠনের তরফে আগেই জানিয়েছেন, আপাতত তারা ওখানে নামায পড়বে না। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ”আমরা সবাইকেই জানিয়ে দিয়েছি যতদিন পর্যন্ত এখানকার হিন্দু ভাইদের সঙ্গে আমাদের সমস্যা না মিটছে আমরা ওই জায়গায় জুম্মার নামায পড়ব না। ডিসি সাহেব আমাদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে।”
২০১৮ সালে এই একই বিষয় নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় ২৯টি স্থানে মতান্তরে ৩৭ টি জায়গায় নামায পড়ার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বিতর্কিত স্থানটিও সেই স্থানের অন্যতম।গত সপ্তাহেই গুরগাঁও প্রশাসনের তরফে ৮টি স্থানের উপর থেকে নামাযের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সেই সময় জানানো হয়েছিল, ওই সব জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি ওঠাতেই এই পদক্ষেপ। নামায বন্ধ করে
গোবর্ধন পুজোর ব্যাপারটি অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। সে কাৰণেই সম্ভবত হিন্দুত্ববাদীরা এবার পুজোর কথা না বলে নামাযের জায়গায় ভলিবল খেলার আবদার জানাচ্ছেন। তাদের যা ভাবগতিক তা দেখে অনেকের ধারণা জুম্মার নামাযের সময়েই তারা ভলিবল খেলবে।