পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে এবার শাসকদলের নতুন কর্মসূচি ‘চলো গ্রামে যাই’। কর্মসূচির প্রচারে রবিবার সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে কুলপি জনপ্রিয় হাইস্কুল ময়দানে পঞ্চায়েতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সহকারী সভাধিপতি পূর্ণিমা হাজারি নস্কর, মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার, মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক নমিতা সাহা, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার প্রমুখ।
এদিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচিতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একটা রাজনৈতিক ইতিহাস আছে। দল ক্ষমতায় আসার পর নেত্রী প্রথম যে কাজটি করেছেন তা হল, বিধানসভায় মেয়েদের ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করার বিল পাস। তিনি ৫০ শতাংশ আসনে মহিলাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মেয়েদের ব্যাপ্তি ঘটানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর, রাজনৈতিকভাবে বলিষ্ঠভাবে সম্মান দিয়ে তার পরিসর বাড়াতে নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছেন, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে। তার ফলে আমাদের রাজ্যের মহিলা সংগঠন এত শক্তিশালী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের কোনও দলে আমাদের মতো এত মহিলা কর্মী, সমর্থক নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছতে হবে। তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। সমস্ত জনমুখী প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ কতটা উপকৃত হয়েছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’ তাঁর মত, একমাত্র তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে, তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে।