কৌশিক সালুই বীরভূম:- বীরভূমের সিউড়িতে যুবক খুন ও বোমাবাজির ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার। পাশাপাশি বোমা রাখার অপরাধে এক দুষ্কৃতি পুলিশের জালে। বাঁশঝোর গ্রাম ওই ঘটনার দুদিন পরেও এলাকা থমথমে। এলাকায় পুলিশি টহল শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য সচেষ্ট গ্রামের সব পক্ষই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত শনিবার রাত্রে বাঁশঝোর গ্রামে যুবক খুন ও বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার শেখ কারিবুল। এখনো পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে সোমবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে বোমা নিয়ে পালাতে গিয়ে মনসুর শেখ নামে ছাপতলা গ্রামের এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রায় ২৫ টি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়েছে। ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত শনিবার রাত্রে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে পুকুরপাড় থেকে শেখ ফাইজুল নামে ১৯ বছর বয়সী যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনা স্থলে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপের ফলে তারপর আর কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। মাত্র কয়েক মাস আগে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় পাল্টা বদলা নিতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় পুলিশি গাফলিতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল।
এদিকে ঘটনার দুদিন পরে এলাকা থমথমে। পুলিশের তল্লাশি ও করা নজরদারির ফলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত খুন, বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মোট ১৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। পুরনো গ্রাম্য বিবাদ ভুলে সব পক্ষই একে অপরের কাছে আসতে মরিয়া এখন। কারন কোনো পক্ষই চাইছে না আর তাদের নিকট কোনো প্রিয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটুক। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন,”খুন ও বোমাবাজির ঘটনায় আরো একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পাশাপাশি এ দিন বোমা নিয়ে পালানোর সময় এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে”।