সুরজ মিশ্র, দিঘাঃ ঘন কুয়াশার জেরে রাতে কুঁকড়াহাটি থেকে সৈকত শহর দিঘায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। সোমবার সন্ধ্যায় দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে কাঁথি পিছাবনী বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই বাস। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বাসের প্রায় ১৫ জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। এর মধ্যে তিন জনের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা ও কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় দিঘা কুঁকড়াহাটি একটি যাত্রীবাহী বাস দিঘা আসার জন্য রওনা দেয়। দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে কাঁথি পিছাবনী বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। তারপরে নয়ানজুলিতে নেমে যায়। বাসের থাকা প্রায় ১৫ জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তারপরেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত উদ্ধার করতে তোড়জোড় শুরু করেছে।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন ” দুর্ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে “। ঠিক কি কারণে এমন দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইঞ্জিন বিকল হয়ে এমন দুর্ঘটনা বলে এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
জানা গেছে, এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মান্দারমনি থানার সুবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তপন কর (৫৯) ও রামনগরের বালিসাই ইন্দ্রজিৎ পট্টনায়ক (৭০) এর মৃত্যু হয়েছে। কাঁথি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। আরো এক জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।