আইভি আদক, হাওড়া: কলকাতার রবীনসন স্ট্রিটের ছায়া হাওড়ার জগাছার নন্দীপাড়ায়। প্রায় তিন দিন স্ত্রীর মৃতদেহ আগলে রইলেন স্বামী। পুলিশ সূত্রের খবর, স্ত্রী মারা গিয়েছেন সম্ভবত দিন তিনেক আগেই। সেই পচাগলা মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন তাঁর স্বামী। ঘটনায় চাঞ্চল্য জগাছায়। জানা গেছে, বয়স্ক ওই দম্পতি থাকেন জগাছার বাড়িতে। তাঁদের মেয়ে কর্মসূত্রে থাকেন হায়দ্রাবাদে। আজ সকালে বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা খবর দেন থানায়। জগাছা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার নাম তপতী চক্রবর্তী (৬৭)। তাঁর স্বামী তুষার চক্রবর্তী (৭৪)। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।আজ সকালে পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এলাকায় সার্ভে করতে আসেন নন্দীপাড়া এলাকায়।
এখানে তুষার চক্রবর্তীর(৭৫) বাড়িতে দরজা নক করতে গিয়ে তাঁরা দুর্গন্ধ পান। দরজা কেউ খোলেনি।খবর দেওয়া হয় পুলিশে।জগাছা থানার পুলিশ এসে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন তুষারবাবু ঘরের মেঝেতে বসে রয়েছেন। মেঝেতেই পড়ে রয়েছে তার স্ত্রী তপতীদেবীর পচাগলা দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ ছিলেন দুজনেই।তুষারবাবু বয়সজনিত কারণে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাদের একমাত্র মেয়ে বিবাহিত। থাকেন হায়দ্রাবাদে। মেয়েকে খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য কয়েকমাস আগেই নন্দীপাড়া শঙ্করমঠ এলাকায় উদ্ধার মা মিনতি কুন্ডর পচাগলা দেহ আগলে বসে ছিলেন মেয়ে সুমনা কুন্ডু। ফের এধরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।