পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মদ, বিড়ি, পান, সিগারেট কিছু নেশা নেই ছেলের। শুধু একটাই লক্ষ্য বিয়ে করা। ইতিমধ্যেই চারটি বিয়ে সেরে ফেলেছেন রানিনগরের যুবক। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তিনি। আর দুটো বিয়ে করার ইচ্ছে আছে। আর ছেলের এই অদ্ভূত শখে প্রাণ ওষ্ঠাগত তার বৃদ্ধ বাবা মায়ের। কারণ ছেলে কাজ কারবার কিছু করে না। তাই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এই বৃদ্ধের ঘাড়েই। কিন্তু ছেলের ঘাড় থেকে বিয়ের ভূত কিছুতেই নামাতে পারছেন না তারা। প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে এবার ছেলেকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন বৃদ্ধ বাবা-মা।
বাবার বক্তব্য, তার ছেলের কোনও নেশা নেই। কিন্তু বিয়ের জন্য পাগল। চারটি বিয়েতে থেমে থাকতে চায় না তার বড় ছেলে। কোনও কাজ করে না, শুধু বিয়ে করে। আর সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। বিয়ে করতে বারণ করলেও শোনে না, তেড়ে মারতে যায়। বলে কেটে ফেলবে। বৃদ্ধের আরও বক্তব্য, সব মেয়ের বাবার কাছে তার আবেদন ছেলের সঙ্গে যেন কেউ তাঁর মেয়ের বিয়ে না দেন। বৃদ্ধ জানিয়েছেন, ছেলের মদ-বিড়ি-সিগারেট-জুয়ার নেশা নেই। ৪টি বিয়ে করে ফেলেছে। আরও দুটো বিয়ে করার ইচ্ছে আছে। তিনটি স্ত্রীকেই ছেড়ে দিয়েছে, চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে থাকে। তার আরও দাবি, বিয়ে করা-না করা তার এবং বিবাহেচ্ছুক পাত্রীর ব্যক্তিগত বিষয়, তবে ছেলের জ্বালায় তিনি আর পারছেন না। ছেলের লাগাতার প্রাণনাশের হুমকির মুখে আতঙ্কে ঘুমোতে পারেন না তিনি।
বৃদ্ধ জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ৫ বছর আগে এই ঘটনা নিয়েই পুলিশ ধরেছিল ছেলেকে। কিন্ত ছাড়া পায় সে। এর পরে তার ছেলে রেগে গিয়ে ফেসবুকে নানা রকম পোস্ট করতে শুরু করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ছেলের গুণকীর্তির কথা জানিয়েছেন তিনি। ছেলের এই স্বভাবের জন্য পাড়ার লোকেদের সঙ্গেও অশান্তি হয়। রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে বড় ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। আবার বাড়ি ফিরে এসে বিয়ে করতে শুরু করে। এই স্বভাবের জন্য পাড়ার লোকেরা একবার ছেলেকে গণপিটুনি দিয়েছিল। বৃদ্ধের আরও বক্তব্য, বৈধভাবে চারজন পুত্রবধূর কথা তিনি জানেন। তবে তার সন্দেহ ছেলে গোপনে আরও বিয়ে করেছে।