পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাঁচ বছর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায়ই খুব জোরের সঙ্গে বলতেন, সিএএ হয়ে গিয়েছে। এবার এনআরসি হবে। ভারত থেকে ঘুষপেটিয়াদের ঘাড় ধরে ধরে বের করে দেওয়া হবে। এমনকী লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে সিএএ, তারপর এনআরসি। ক্রোনোলজি সমঝ লিজিয়ে।’ স্বাভাবিকভাবেই এখন মোক্ষম প্রশ্নটা হচ্ছে, সিএএ-র রুল তো জারি হয়ে গেল। এবার কি তাহলে এনআরসি?
শাহর ক্রোনোলজি অনুযায়ী তো সেটাই হওয়ার কথা। যদিও এই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশাই রেখে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, শাহ ফের দাবি করেছেন, সিএএ’র সঙ্গে এনআরসি’র কোনও সম্পর্ক নেই। আর এনআরসি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যাবতীয় দায় কংগ্রেসের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এনআরসির ধারনা তো নিয়ে এসেছিল কংগ্রেসই।
বুধবার এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, ‘সিএএ নিয়ে বিরোধারী মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সিএএ তো ছিল এটা নেহরু, গান্ধিদের জমানার প্রতিশ্রুতি। এই প্রসঙ্গে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের নিশানা করে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি কোনও ইতিহাস না পড়ে শুধু চিরকুট দেখে কথা বলেন। অত ছোট চিরকুটে এতকিছু লেখা থাকে না। সিএএ-র মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, আফগানিস্তান থেকে যে শিখরা পালিয়ে এসেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কী করা হবে?
শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাক আছে। এটা বুঝতে হবে। আর এই শরণার্থীরা বহু বছর ধরেই ভারতে থাকেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে জমি কিনতে পারেন না। তাঁদেরকে সম্মান দিতেই এই আইন করা হয়েছে। সিএএ ও এনআরসি’র মধ্যে যে কোনও সম্পর্ক নেই সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে শাহ বলেন, ‘সিএএর সঙ্গে এনআরসির কোনও যোগ নেই। রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতের সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এনআরসির এই কনসেপ্ট এসেছে কংগ্রেসের থেকে।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)