পুবের কলম প্রতিবেদক: গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের আগে কলকাতার বাবুঘাট অঞ্চলে বাসা গাড়েন নাগা সাধুরা। ভিন রাজ্য থেকে আসা এই সাধুদের জন্য, কোভিড টেস্টের বন্দোবস্ত রাখছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর এলাকায় মাইকে ঘোষণা হবে। কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট করে নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। কিভাবে নিজেদের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে সমগ্র কাজ পরিচালনা করা হবে তা নিয়েই বৈঠক হয় এদিন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরকমিশনার বিনোদ কুমার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক ও কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক।
অন্যদিকে, মেলা চলাকালীনই শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারত-শ্রীলংকা আন্তর্জাতির ম্যাচ, একইসঙ্গে চলবে জি-টোয়েন্টি সামিট। এই অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে সবদিক সামাল দেওয়া একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে।
দুবছর পর বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই এবছর ৩০ লাখের ওপর পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলেই আশাবাদী রাজ্যসরকার। পুণ্যার্থীদের যাওয়া আসার কথা মাথায় রেখে ‘সিঙ্গেল টিকিটের’ ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
করোনার প্রকোপ একদম হলেও যেহেতু এখনও পুরোপুরি করোনা মুক্ত হয়নি রাজ্য, তাই টেস্টের জন্য একটি ক্যাম্প থাকছে। একইসঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হবে। তবে গত দুবছরের মতো আলাদাভাবে এবছর কোনও কোভিড বিধি থাকছে না বলেই জানিয়েছেন মেয়র।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। যদি করোনা নিয়ে কোনও গাইডলাইন পাঠানো হয়, সেটা মেনেই চলা হবে।’
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর মেলার শুরুর দিনই শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারত-শ্রীলংকা আন্তর্জাতির ম্যাচ। একইসঙ্গে শুরু হচ্ছে জি-টোয়েন্টি সামিট। ফলে দর্শকদের ভিড়ের সঙ্গে বাড়তি চাপ হিসেবে যুক্ত হবে বিদেশি অতিথিদের সমাগম। এই অবস্থায় পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। ম্যাচের দিন শহীদ মিনার, মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল গ্রাউন্ড এবং মোহামেডান গ্রাউন্ডে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। জি-টোয়েন্টি সামিট- এর কথা মাথায় রেখে বিদেশি অতিথিদের কাছে তিলোত্তমাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেও বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সারাদিন তিন থেকে চার বার সাফাইয়ের কাজ করার জন্য অতিরিক্ত কর্মী বহাল হয়েছে।