পুবের কলম প্রতিবেদক: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলা-সিকিম রেল প্রকল্প। কাlলিঝোড়ার কাছে ৩ নম্বর টানেলের সফল ব্রেক-থ্রু হল। ১৪ টি টানেলের মধ্যে সাতটি টানেলের খনন সম্পন্ন হয়ে গেল। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে, ইতিমধ্যে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৭টি টানেলের খনন কার্য ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গেল এবং আরও কতগুলি খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে।
অন্যান্য টানেলের ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং-এর কাজও শুরু হয়েছে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
এই প্রকল্পে উচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি ভারতের সু-অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে প্রত্যাহ্বানমূলক ও দুর্বল গ্রাউন্ডমাসের মাধ্যমে টানেল সম্পূর্ণ করার জন্য নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড (এনএটিএম) গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই টানেলের মাধ্যমে ট্র্যাক লিংকিং-এর কাজের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। টানেল নং. টি-১৪-এর ঠিক পরেই অবস্থিত রংপো স্টেশন নির্মাণেরও কাজ চলছে এবং এটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিকিমের জন্য বাণিজ্য ও পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এই রেলওয়ে প্রকল্প রাজ্যটির আর্থ-সামাজিক স্থিতির মান বৃদ্ধি করবে।
গত ১৫ মে, ২০২৩ তারিখে সেবক-রংপো রেল প্রকল্প (এসআরআরপি)-এর টানেল নং. টি-১৪-তে ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং সম্পূর্ণ করে আরও এক সাফল্য অর্জন। গত বছরে এই টানেল বিরাট সাফল্য অর্জন করেছিল এবং ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং সম্পূর্ণ করা আসলে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের কৃতিত্ব। চলতি বছরের মার্চ মাসে রেলওয়ে, যোগাযোগ বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও এই টানেল পরিদর্শন করেন এবং কাজের প্রশংসা করেন। অবশেষে ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং সম্পূর্ণ হওয়ার শুভ উপলক্ষ এই প্রকল্পের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য পরিনাম হিসেবে চিহ্নিত হল।