পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দিল্লিতে রোহিণী আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর। শুক্রবার জিতেন্দ্র গোগীকে আদালতে নিয়ে আসার সময় একদম ফিল্মি কায়দায় তার ওপর গুলিবর্ষণ চলে। তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে বলে খবর। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই আততায়ী। পুলিশের গুলিতে ২ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। জখম হয়েছেন এক আইনজীবী। যখন এই গুলির ঘটনা ঘটে তখন ২০৭ নম্বর ঘরে শুনানি চলছিল। বিচারকের এক মিটার দূরত্বে পর পর গুলি চালায় আততায়ীরা। আইনজীবীর পোশাকে ছিল আততায়ীরা। এদিন দুপুর ১২.৩০ থেকে ১.৩০ টা নাগাদ হঠাৎ এই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে আদালত চত্বর। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে আততায়ীরা। ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চলে।
দুষ্কৃতীদের নিশানায় ছিল জিতেন্দ্র গোগী। পুরো পরিকল্পনামাফিক এই গুলি চালানো হয়ে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশে অনুমান। এই ঘটনার পিছনে টিল্লু গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশে। । এই মুহূর্তে আদালত চত্বরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর,আদালতে হামলার খবর আগে থেকেই ছিল। তাও কিভাবে আদালতের মতো সুরক্ষিতস্থানে এই গুলি চলল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
জিতেন্দ্র গোগীর মাথার দাম ছিল ৬.৫ লাখ। চলতি বছরের মার্চ মাসে গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি পুলিশ তার তিন সহযোগীর সঙ্গে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।
কলেজজীবনে পড়ার সময় তার বন্ধুত্ব হয় সুনীল মান ওরফে টিল্লুর সঙ্গে। সেই বন্ধুত্বই পরে শক্রতায় পরিণত হয়। শ্রদ্ধানন্দ কলেজে নির্বাচনের সময় কোন প্রার্থীদের সমর্থন করা হবে তা নিয়েও দুজনের মতভেদ ছিল। ৩০ বছরের যুবক জিতেন্দ্র বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে পাকাপাকিভাবে অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে। তার বিরুদ্ধে ১৯ টি খুন সহ খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তোলাবাজি,ডাকাতির অভিযোগ ছিল জিতেন্দ্র গোগীর উপরে।