আইভি আদক, হাওড়া: উত্তর ভারত সহ মাতা বৈষ্ণোদেবী দর্শন করাবে ভারত গৌরব স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড অর্থাৎ আইআরসিটিসি, কলকাতার তরফ থেকে আগামী ১১ আগস্ট এই বিশেষ টুরিস্ট ট্রেনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিশেষ টুরিস্ট ট্রেনটি ভারত মাতা মন্দির, গঙ্গা আরতি, রাম ঝুলা, লক্ষ্মণ ঝুলা, ত্রিবেণী ঘাট, মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দির, স্বর্ণ মন্দির, ওয়াঘা বর্ডার, তাজমহল, মথুরা, বৃন্দাবন, রাম জন্মভূমি এবং সরযূ নদী দর্শন করাবে।
ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে আগামী ১১ আগস্ট যাত্রা শুরু করবে। সোমবার দুপুরে এই উপলক্ষে আইআরসিটিসি’র তরফ থেকে হাওড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বলা হয় বর্তমান ভারত সরকারের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ এবং ‘দেখো আপনা দেশ’, এই উদ্যোগ রূপান্তর করতে এই বিশেষ টুরিস্ট ট্রেনটির সূচনা হতে চলেছে।
ভারতীয় রেলের “ভারত গৌরব ট্রেন” প্রকল্পের অধীনে রেলের পর্যটনের প্রচারের জন্য রেলওয়ে ভাড়ায় আনুমানিক ৩৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১০ রাত্রি এবং ১১ দিনের প্যাকেজে ইকোনমি, স্ট্যান্ডার্ড এবং কমফোর্ট ক্লাস থাকছে। যেখানে রাতের বিশ্রাম প্রয়োজন সেখানে ইকোনমি বিভাগের জন্য নন এসি বাজেট হোটেল, স্ট্যান্ডার্ড বা ডিলাক্স বিভাগের জন্য এসি হোটেল, নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা, নন এসি এবং এসি বাসে দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ এবং ভ্রমণ বীমা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য যেসব বোর্ডিং এবং ডিবোর্ডিং পয়েন্ট চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে সেগুলো হলো কলকাতা, মেচেদা, খড়গপুর, ঝাড়গ্রাম, টাটানগর, রাঁচি, বোকারো স্টিল সিটি, ধানবাদ, হাজারীবাগ রোড, কোডারমা, গয়া, সাসারাম, দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রমুখ।
জানা গেছে, সম্পূর্ণ তিনটি বিভাগে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। ৫৮০টি আসন সহ ইকোনমি ক্লাস, ২১০টি আসন সহ স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস রাখা হয়েছে। ইকোনমি ক্লাসে নন এসি বাজেটের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং পরিবহন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড এবং কমফোর্ট বিভাগের জন্য এসি হোটেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই সমস্ত পরিষেবাগুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যে যেমন ইকোনমি ক্লাসে জনপ্রতি ১৭,৭০০ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসের জন্য জনপ্রতি ২৭,৪০০ টাকা এবং কমফোর্ট ক্লাসের জন্য জনপ্রতি ৩০,৩০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যারা আইআরসিটিসি’র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইনে প্যাকেজ বুক করাবেন তাদের পেটিএম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইএমআই এর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ডেভিড এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বুকিং করা যাবে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইআরসিটিসি’র এজিএম আনোয়ারুল করিম, যুগ্ম সম্পাদক রাজেন্দ্র বোরবান, ট্যুরিজম অফিসার মধুমতী রায়চৌধরী ও দীপঙ্কর মান্না। বিশেষ এই ট্রেনে ট্যুরিজম ছাড়া অন্য কোনও যাত্রীদের প্রবেশ নিষেধ। এই ট্রেনটি আগামী ১১ আগস্ট ২০২৩ কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে। উত্তর ভারত সহ মাতা বৈষ্ণবদেবী দর্শন করিয়ে ২১ আগস্ট ফিরে আসবে।