পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিউ টাউনে ইকো পার্কের-১ নম্বর গেট সংলগ্ন ময়দানে রাজ্য পর্যায়ের বসেছে হস্তশিল্প মেলা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি এবং বস্ত্র দফতরের আয়োজনে এই শিল্প মেলা শুরু হয়েছে ২৫ নভেম্বর। চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারে এই হস্তশিল্প মেলায় উৎসাহ জোগাতে আচমকাই পরিদর্শনে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে রাজ্যের প্রশাসনিক এই প্রধান শিল্পী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নানার সমস্যার কথা শোনেন। তেমনি আয়োজন এবং বিক্রির বাটার ব্যাপারেও শিল্পীদের কাছে খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী।
উদ্বোধন থেকে ধরে রবিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় হপ্তা অতিক্রম করেছে এই শিল্প মেলা। আর সপ্তাহের ছুটিতে মরশুমের শীতলতম দিনে শীতের হালকা পোশাক গায়ে চাপিয়ে রবিবার অগণিত মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে নিউ টাউনের হস্তশিল্প মেলা প্রাঙ্গণ।
সন্ধ্যা নামলে সেই ভিড় হচ্ছে দ্বিগুণ। জানা গেছে, বীরভূম, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পাহাড়ি জেলা মিলিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা নিজেদের হাতে তৈরি নানাবিধ শিল্প সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। আয়োজন দফতর সূত্রের খবর, বিভিন্ন অংশে এবারের শিল্পী ও বিক্রেতা মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ সরাসরি ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে আগত বাংলার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পীদের হাতে নির্মিত মেয়েদের প্রসাধনী চুড়ি, বালা, কানের দুল-সহ কাঠের তৈরি টেবিল, চেয়ার, ফুলদানি, প্লেট, গালিচা, কার্পেট, লাইট ল্যাম্প, খাদি, কলমকারি ও শীতের পোশাক পরিচ্ছদ মিলিয়ে হরেক রকম গৃহসজ্জা সামগ্রী জোর কদমে বিক্রি বাটা ও প্রদর্শনী চলছে। অনেকেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে গৃহসজ্জার নানা দ্রব্য সামগ্রী হাতে নিয়ে ফিরছেন। যেমন ছুটির দিনে বারাসাত শহর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছিলেন অল্প বয়সের শুভ্রাংশু দাস।
ঐতিহ্য ও গুণমানকে মাথায় রেখে তার অভিভাবকেরা খুদের জন্য দার্জিলিং থেকে আগত বিক্রেতা বার্ডেন লেপচার কাউন্টার থেকে শুভ্রাংশুর জন্য শীতের গরমের পোশাক অর্থাৎ টুপি, সোয়েটার, মাফলার কেনেন।
এই উপহার পেয়ে খুশি খুদের প্রতিক্রিয়া, ‘রবিবারের ছুটির দিনে মেলা ভ্রমণের পাশাপাশি কেনাকাটার আনন্দের সাধই ছিল আলাদা। আর সঙ্গে ছিল খাওয়া-দাওয়া’। এই হস্তশিল্প মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা গ্রাউন্ডে পৃথক একটি ফুট কোর্ট তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। কেনাকাটার পাশাপাশি শীতকালীন রসিক খাদ্য পিঠে-পুলি, মাছের তৈরি বিভিন্ন পদ, মিষ্টি, কড়াইশুঁটির কচুরি-সহ নানাবিধ খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে বিপুল মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। খাবার অর্ডার করতে অনেক স্টলেই পড়ছে লাইন। আর রবিবার ছুটির দিনে সেই লাইন হচ্ছে দীর্ঘতর।