পুবের কলম প্রতিবেদক: কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। তারপর অধ্যক্ষের পদ ফাঁকা ছিল। এবার নতুন করে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। তিনি মঠ এবং মিশনের সহ-অধ্যক্ষ ছিলেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর নাম হিসাবে ঘোষণা করেন মঠ এবং মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।
ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘পরম শ্রদ্ধেয় স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজকে আমার প্রণাম। আজ বেলুড় মঠে অনুষ্ঠিত মঠের ট্রাস্টি বোর্ড এবং মিশনের গভর্নিং বডির সভায় রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যুগ্ম প্রতিষ্ঠানের ১৭ তম সভাপতি হলেন।’
My pranam to the Most Revered Swami Gautamanandaji Maharaj, who has been elected the President of the Ramakrishna Math and Ramakrishna Mission at the meeting of the Board of Trustees of the Math and the Governing Body of the Mission held at Belur Math today. He is the 17th…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 24, 2024
জানা গিয়েছে, স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন স্বামী গৌতমানন্দ। মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত শতাব্দীপ্রাচীন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ কখনও শূন্য থাকে না। তাই, গত ৭ এপ্রিল প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষের ভান্ডারা অনুষ্ঠানের মাসখানেকের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হল।
প্রসঙ্গত, অছি পরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সহ-অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি। স্বামী গৌতমানন্দ মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন স্বামী রঙ্গনাথানন্দের কাছে। ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দের কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন। তারপর দীর্ঘ দিন অরুণাচলপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং নয়া দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডে সাধারণ এবং এক্সিকিউটিভ সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তারপর ১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অছি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন স্বামী গৌতমানন্দ। এছাড়াও একাধিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি।