পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede) পাশে দাঁড়ালেন তাঁর স্ত্রী ক্রান্তি রেদকার। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে ক্রান্তি রেদকার (Kranti Redkar) বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
ক্রান্তি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার স্বামীকে নিয়ে আমাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নানাভাবে বিদ্রুপ করা হচ্ছে। ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছি আমরা।
ক্রান্তি বলেন, তাঁর স্বামী একজন সৎ অফিসার বলেই কি তাঁকে হেনস্থা হতে হচ্ছে? তার বিরুদ্ধে করা কোনও অভিযোগের প্রমাণ নেই। ক্রান্ত্রির দাবি, তাঁর স্বামী ওয়াংখেড়ের জীবন হুমকির মুখে।
এনসিবি প্রধানের বিরুদ্ধে তোলা নবাব মালিকের অভিযোগের বিষয়ে ক্রান্তি বলেন, আমার স্বামী কোনও অন্যায় কাজ করতে পারে না। আমি এই ধরনের অভিযোগ বরদাস্ত করব না।
ক্রান্তি রেদকার বলেন, আমার বিশ্বাস মহারাষ্ট্র সরকার সত্যির সঙ্গে থাকবে। নিরপেক্ষ বিচার করবে।
সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রী ছাড়াও ক্রান্তির পরিচয় তিনি একজন মারাঠি অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, আরিয়ান কাণ্ডে চাপের মুখে এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন মাদক মামলার সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে তাকে মিথ্যা মামলায় সাক্ষী দিতে চাপ দেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। তাই এবার তদন্তের মুখে এনসিবি কর্তা।
সোমবার মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে NDPS আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন NCB-র আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে।
প্রমোদতরী মাদক কাণ্ডে সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, আরিয়ান খান মামলায় সমীরের ওয়াংখেড়ের সঙ্গে ৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে, এমনকী তাকে হত্যা করা হতে পারে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন প্রভাকর।
এমনকী প্রভাকর জানান, তাকে গত ৩ অক্টোবর NCB-র দফতরে ডাকা হয়েছিল। সেইদিনও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।
একের পর এক অভিযোগে নড়েচড়ে বসে NCB। এরপরেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।