পুবের কলম প্রতিবেদক: সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই যাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করা যায়, সেই বিষয়ে সমস্ত জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। পুজোর কথা মাথায় রেখেই এবার আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হল জেলাগুলিকে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দু’বছর বাদে এই বছরের পুজোতে এবার জনসমাগম আরও বেশি হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ যাতে শেষ করা যায়, সেই বিষয়েই শনিবার বিশেষ নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিন জেলাশাসক ও জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুস্টার ডোজ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে জেলাগুলিকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই যাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় বলেই সূত্রের খবর। এর আগেও মুখ্য সচিব করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার সময় বুস্টার ডোজ ৩১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেওয়ার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
তারপরেও একাধিক জেলায় ডোজ নেওয়ার আগ্রহ তেমন একটা দেখা যায়নি বলেই সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে জেলাগুলি যাতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে প্রচার কর্মসূচির মাধ্যমে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বাড়াতে পারে, তার জন্যই এই দিনের বৈঠকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, আগামি সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন। বিকেল চারটে থেকে এই বৈঠকে কলকাতার পাশাপাশি প্রতিটি জেলার মিউনিসিপ্যালিটি ও ব্লক এলাকা থেকে ভার্চুয়ালি পুজো কমিটিগুলো উপস্থিত থাকবে। মনে করা হচ্ছে, সোমবারের পুজো নিয়ে বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে এবারের পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা, জেলাগুলিতে কী ভাবে পুজো হবে, যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরা হবে এই বৈঠকের মাধ্যমে।
সম্প্রতি ইউনেস্কো থেকে বাংলার দুর্গাপুজো বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই স্বীকৃতিকে সামনে রেখেই রাজ্যজুড়ে দুর্গাপুজোর বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই সোমবারের বৈঠক বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্গাপুজোর পরেও যাতে করোনা পরিস্থিতি রাজ্যে স্বাভাবিক থাকে, তার জন্য এবার বুস্টার ডোজ নেওয়ার দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। এখনও কিছু কিছু জায়গায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজও যাতে দ্রুত শেষ করা হয়, সেই বিষয়েও এদিনের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যসচিব।