নয়াদিল্লিঃ ‘মুঘলসম্রাট বাবর ছিলেন অত্যাচারী।বাইরে থেকে এসে তরবারি দিয়ে ভারতকে শাসন করেছিলেন। তাই তাঁর নামে ভারতের কোনও জায়গার নাম থাকতে পারে না।দিল্লির বাবরপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের নাম বদল করতে হবে এপিজেআবুল কালামের নামে’।দিল্লি বিধানসভায় এই দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক অজয় মহাওয়ার।বাবরপুর বিধানসভায় কিন্তু বিজেপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। সেখানে জিতেছেন আপ বিধায়ক গোপাল রাই। দিল্লির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছেন গোপাল রাই। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিমরা এককাট্টা হয়ে ভোট দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টিকে। সেই আপ এখন হিন্দুত্ববাদের প্রতি নরম অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তা দিল্লি দাঙ্গায় সরকারের অবস্থান থেকে যেমন স্পষ্ট হয়েছে, তেমনই প্রবীণদের সরকারি খরচে অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণাতেও প্রতিভাত। বোধ হয় সেই কারণেই অজয় মহাওয়ারের দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়ার পথে হাঁটল না কেজরিওয়াল সরকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলে এদিনই সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণাই করে দেন যে, বাবরপুর বিধানসভা এবার কালামের নামে পরিচিত হবে।আপ সরকারের তরফে কেউ অজয়ের কথার প্রতিবাদ করেনি। একইসঙ্গে অআর এক বিজেপি বিধায়ক অভয় ভার্মা লক্ষ্ণীনগর মেট্রো স্টেশনের নাম বদলে লক্ষ্ণীনগর–শকরপুর রাখার প্রস্তাব দেন। তাও মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন বলেই খবর। তিনিও মুঘল সম্রাট বাবরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
অথচ বাবরনামায় মুঘলসম্রাট বাবর পুত্র হুমায়ুনকে লিখছেন, ‘ঈশ্বরের অশেষ আর্শীবাদ যে, এত বৈচিত্র্যে ভরা ভারতের মতো দেশ এবং তার জনগোষ্ঠীকে উপহার দিয়েছেন তিনি।সমস্তরকম ধর্মান্ধতা থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিটি ধর্মকে স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করার সুযোগ দেওয়া তোমার কর্তব্য হওয়া উচিত। হিন্দুস্তানের ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে, তাই এদেশে গোহত্যা বন্ধ করা উচিত। মন্দির বা অন্য ধর্মস্থান যেন অক্ষত থাকে, তা দেখা তোমার কর্তব্য। তুমি ইসলামের প্রসার চাইলে তা দয়ার তরবারি ব্যবহার করেই হতে পারে, নির্যাতনের তরবারি চালিয়ে হবে না’।