পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশে কখনও গণপিটুনি আবার কখনও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু যেন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের। যেখানে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় আলতাফ (২২) নামে এক মুসলিম যুবকের। এই ঘটনার পর আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।
আলতাফের বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে। এরপরে আলতাফের বাবা নিজেই তাকে থানায় নিয়ে যান। কিন্তু পরের দিনই পুলিশ জানায় তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এরপর আলতাফের বাবা পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন।
পুলিশ হেফাজতে সন্দেহজনক মৃত্যুর পর তাদের গাফিলতি প্রকাশ্যে এসেছে। আলতাফের বাবা চাঁদ মিঞা বলেন– সোমবার সন্ধ্যায় তিনি নিজেই তার সন্তানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেছে আমার সন্তান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মনে হয় তাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে– ‘আলতাফকে সকালে কোতয়ালিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল– যেখানে ওয়াশরুমে যাওয়ার অজুহাতে সে জ্যাকেটের সঙ্গে লাগানো হুডের স্ট্রিং দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটিকে গাফিলতির ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আলতাফের বাবা চাঁদ মিঞা বলেন– আমি আমার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।