পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচালয় বানানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এবার আরও এক ধাপ এগলো চিন্তাভাবনা। মহিলাদের জন্য তৈরি প্রতিটি শৌচালয়ে থাকবে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সেন্টার। ফলে রাস্তাঘাটে আর সমস্যায় পড়তে হবে না মহিলাদের। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের নাম স্থির হয়েছে ‘মণিকা’। তবে এখনও নাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
অফিসে অন্য কাজের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে হঠাৎ ঋতুস্রাব শুরু হলে সমস্যায় পরে যান মহিলারা। প্যাড কিনতে ছুটতে হয় দোকানে। এদিকে সব সময়ই যে ওষুধের দোকান কাছে থাকে এমনটা নয়। এই সময়টা যেকোনও মহিলার জন্যই অস্বস্তি জনক। অন্যদিকে ঋতুমতী অবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে এখনও সচেতন নন সমাজের একটা বিরাট অংশ। যার নেপথ্যে দারিদ্র একটা বড়ো সমস্যা। নিম্নবিত্তদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দোকানে বিক্রি হওয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনা সম্ভব হয় না দামের জন্য। সেক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি প্যাড ব্যবহার করে থাকেন অনেকে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলেই মত চিকিৎসকদের। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতেই মণিকা প্রকল্পের ভাবনা বলে জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই একটি করে এই সেন্টার তৈরি করা হবে। সেখানে যে শুধু প্যাডের ব্যবস্থা থাকবে এমন নয়, আলাদা বাথরুম, ড্রেস চেঞ্জিং রুমও থাকবে। সেন্টারগুলিতে থাকবে ওয়েটিং রুমও। কেউ চাইলেই সেখানে বসে কিছুক্ষণ অফিসের কাজ করতে পারবেন। বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থাও থাকবে। একইসঙ্গে থাকবে ব্রেস্ট ফিডিং-এর জন্য আলাদা জায়গা। নির্দিষ্ট ওই ঘরে গিয়েই শিশুকে স্তন্যপান করতে পারবেন মহিলারা। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে সবকটি সেন্টারে একজন মহিলা পরিচালিকার ব্যবস্থা থাকবে।