পুবের কলম প্রতিবেদক: সামনের সপ্তাহে ঈদ। রমযান মাস চলছে। এই অবস্থায় শহরের রাস্তায় ফল থেকে শুরু করে একাধিক খাবারের পসার সাজিয়ে বসেছে খুচরো বিক্রেতারা। বিক্রিবাটাও হচ্ছে জোর কদমে। কিন্তু সেই সব খাবারের গুণমান কতটা! কতটা স্বাস্থ্যকর ভাবে খাবারগুলি তৈরি করা হচ্ছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে, এই সবের সঠিক তথ্য পেতে ঈদের আগে খাদ্য সুরক্ষা অভিযান শুরু করল কলকাতা পুরসভা। একইসঙ্গে অভিযান চালানো হচ্ছে শহরের নামকরা রেস্তোরাঁগুলিতেও। খাবারের গুণমানে থাকায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সাত তারা বিশিষ্ট রেস্তোরাঁকে নোটিশ ধরিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশে জানতে চাওয়া প্রশ্নগুলির সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, রমযান মাস উপলক্ষে প্রচার জায়গায় রাস্তার ধরে খাবার বিক্রি হচ্ছে। সেই সব জায়গার খাবারের গুণমান যাচাইয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বড় হোটেল- রেস্তোরাঁগুলিতেও অভিযান চালানো হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় দেখা গেছে ঠিকঠাকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তাঁদেরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের সাত তারা ও পাঁচ তারা বিশিষ্ট একাধিক রেস্তোরাঁকে এই নোটিশ ধরানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নিজেস্ব যে অত্যাধুনিক ফুড ল্যাবরেটারি রয়েছে সেখানেই খাবারের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। খাবারের সঙ্গে পরিশুদ্ধ বোতলবন্দী পানীয় জল- কোলড্রিংস, জুস এইসব ধরনের পানীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যেখানে ভেজাল মিলবে বা খাবার তৈরিতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সেই রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো ও ঈদের আগে শহর জুড়ে খাদ্য সুরক্ষা অভিযান চালায় কলকাতা পুরসভা। এই অভিযানে অংশ নেন এক্সপার্টরা। তবে শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, জেলাস্তরেও যাতে খাদ্য সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়, সেই লক্ষে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ডিস্ট্রিক লেভেল অ্যাডভাইজারি কমিটি। এই কমিটিতে সভাপতিত্ব করছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, সহসভাপতি হয়েছেন কলকাতা পুরসভার সিএমএইচও। খেতে ভালো অথচ স্বাস্থ্যকর খাবার কিভাবে বানানো যায়, সমস্ত খাবারের দোকানগুলোকে সেই পরামর্শ সমস্ত দেবে এই কমিটি।