পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শীঘ্রই অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজের সহায়তায় চালু হতে চলেছে “টেম্পল ম্যানেজমেন্ট” কোর্স। এই কোর্সে অফলাইন এবং অনলাইন মোডে পড়াশোনা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এর আওতায় স্নাতক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজ, তাদের সংস্কৃত বিভাগের সঙ্গে শুক্রবার অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।
এই তথ্য জানিয়ে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হিন্দু দর্শনের সামগ্রিক অধ্যয়ন। চুক্তিটি হিন্দু দর্শন সম্পর্কিত নতুন পাঠ্যক্রম বিকাশের দিকেও কার্যকরী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিন্দু দর্শনের বিস্তৃত অধ্যয়নের উপর ফোকাস করা হবে। উচ্চ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে ভারতীয় জ্ঞান প্রণালীকে সংযুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে যে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী ছয় মাসের একটি সার্টিফিকেট কোর্স শুরু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ম্যানেজমেন্ট স্কুলের (জামনালাল বাজাজ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ এবং অলকেশ দীনেশ মোদি ইনস্টিটিউট) সহায়তায় শ্রী সাইবাবা সংস্থা ট্রাস্ট এবং শেগাঁওয়ের গজানন মহারাজ মন্দিরের মত প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সঙ্গে আলোচনা করে পাঠ্যক্রমটি তৈরি করা হবে।
এক আধিকারিক বলেন, “কেউ সৌর-সঞ্চালিত পদ্ধতির প্রয়োগ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, কেউ ধূপকাঠি বানানোর জন্য ভক্তদের অর্পণ করা ফুলের ব্যবহার করছেন। এর ফলে উপার্জনের পথও তৈরি হচ্ছে। কেউ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টেকনোলজির ব্যবহার করা শুরু করেছে। এসব নিয়ে বইও লেখা হয়েছে। এগুলি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
ওই আধিকারিক আরও জানান, বিস্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন রবিকান্ত সাংগুরডে এবং মাধবী নরসালে। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর রবীন্দ্র কুলকার্নি এই অংশীদারত্বের বিশ্বব্যাপী প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, “এই মৌ স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় বিভাগই বিশ্বমঞ্চে তাদের ছাপ রেখে যেতে পারবে। শিরডির শ্রী সাইবাবা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ হাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের সময় মন্দির পরিচালনায় একটি কোর্স শুরু করার ধারণাটি উঠে আসে। আমরা শিরডি মন্দির পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেছি।”