পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সকালটা ছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। সংসারের কাজ সেরে তিন সন্তানকে নিয়ে ব্যাঙ্কে যাচ্ছি বলে হাঁটা দেন এক মহিলা। তার পরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। জানা গিয়েছে, সন্তানদের নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজন শিশুর দেহ জলে ভাসতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে মৃত শিশুকন্যার নাম সামনে আসে। তবে এখনও নিখোঁজ মা ও তার দুই সন্তান।
জানা যায়, ব্যাঙ্কে যাচ্ছি বলে বেরিয়ে শিশুকন্যা সহ মহিলার গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। শুক্রবার দুপুরে এক শিশুকন্যার দেহ ভেসে আসতে দেখে সাগরদিঘি থানা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকার বাসিন্দা রেবিনা খাতুন। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন সন্তান। দুপুরে কাবিলপুরে ভাগীরথী নদীর পাড় থেকে খাদিজা খাতুন নামের এক শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রেবিনা খাতুন ও তার দুই সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সন্তানদের নিয়ে ব্যাঙ্কে যান রেবিনা। বাড়ির লোককে সেই রকমই জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, সাংসারিক অশান্তির জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রেবিনা।
শুক্রবার দুপুরে এক শিশুকন্যার লাশ ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পর তারাই শিশুটির দেহ উদ্ধার করে নেটমাধ্যমে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শিশুর মাসি সে কথা জানতে পেরে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর পর উদ্ধারকারীরাই সাগরদিঘি থানায় খবর দেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গঙ্গায় শিশুটির লাশ ভেসে এসেছিল। এক প্রতিবেশী ওই লাশ উদ্ধার করেন। আমাদের একটি সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সে খবর জানতে পারি। এর পর শিশুটির সন্ধান চালাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ শুরু হয়। পরিবারের এক আত্মীয় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই ওই বাচ্চাটির পরিচয় জানান।’
এই খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে খবর, রেবিনা খাতুন এবং তাঁর দুই সন্তান এখনও নিখোঁজ। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। শিশুকন্যাটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে থানায় এই ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত খবর জমা পড়েনি।