পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তিনি সংগ্রামের প্রতীক। তিনি মানে আন্দোলন। তিনি মানে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া। পরাজিত হয়েও আবার ফিরে আসা। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি নথি হিসেবে ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম তাঁর।
তাই ৫ জানুয়ারি তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে ভোলেন নি দেশের প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে যতই পার্থক্য থাকুক না কেন, একে অপরের প্রতি সৌজন্য দেখাতে কখনও ভোলেন নি তারা দুই জন। নরেন্দ্র মোদি টুইটে লিখেছেন, “মমতা দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের কামনা করছি”। তবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এদিন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেও তাঁর আসল জন্মদিন আজ নয়।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের প্রকাশিত বই ‘একান্তে’ তাঁর জন্মদিন সম্পর্কে লিখেছেন। সেই বইয়ে তিনি লিখেছেন, ”মা’র কথানুযায়ী দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পর নাকি বৃষ্টি থেমে যায়।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আজ তিনি ৬৮ তে পা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য ফেলে আসা বছরে মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ার সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে স্পর্শ করেছে৷
বহুচর্চিত ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে মমতা কেবল ঘুরে দাঁড়াননি, নিজেকে দেশের বিরোধী রাজনীতির পুরোভাগে নিয়ে আসতে পেরেছেন। সূচনার পর থেকে দীর্ঘ সংগ্রাম করে আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে বসেছেন মমতা। তাঁর নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসেছে যোগ্য কারণেই।