শফিকুল ইসলাম,নদীয়া: নদিয়ার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। এইদিন কেন্দ্রের তরফে নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। রাজ্য সরকারের তরফেও নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হ রবিবার দুপুরে এক টুইট বার্তায় দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “নদীয়ায় পথ দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারালেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত ব্যাথিত ৷ আমার সমবেদনা তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি ৷ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি ৷ “
বাংলার এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিবাররে প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বাংলায় টুইট করেছেন শাহ।
পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করে অমিত শাহ টুইট করে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় ঘটে যাওয়া পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওনাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর টুইট, ‘নদিয়ার পথ দুর্ঘটনার খবরে আমি মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। কঠিন সময় ভগবান তাঁদের সকলের সহায় হন। রাজ্য সরকার সকলের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে।’টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ।
বেঁচে রইল না একটা পরিবারের আর কেউ ৷ নদীয়া হাঁসখালির ফুলবাড়ির মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের ১০ জনের ৷মৃত বয়স্ক সদস্যের শবযাত্রায় যেতে গিয়ে শেষ হয়ে গেল গোটা একটা পরিবার ৷ পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যে ১৮জনের মৃত্যু হয়েছে, জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ছিলেন ৷ ছিল এক শিশুও ৷ হাঁসখালির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পার মদনপুর এলাকার বাসিন্দা শিবানী মুহুরী (৯২) । বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় শনিবার । তারপর গভীর রাতে একটি ৪০৭ গাড়িতে করে পরিবারের১০ জন সদস্য-সহ এলাকার বেশ কয়েকজন নবদ্বীপ শ্মশানে শেষকৃত্য করার উদ্দেশে রওনা দেন । রাত একটা নাগাদ নদীয়ার হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় রাজ্য সড়কে উল্টো দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই লরিতে সরাসরি ধাক্কা মারে শ্মশানযাত্রীদের গাড়ি । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের । পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই আরও ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ কয়েক ঘণ্টা পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ এই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনই দেখা যাচ্ছে একই পরিবারের সদস্য ৷
সূত্রের খবর, মুহুরী পরিবারের যে ১০ জন সদস্য গাড়িতে করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এসেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পারমাদানপুর এলাকায় শোকের ছায়া ।