পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ শনিবার বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের জালাউন জেলায় যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ দিন ২৯৬ কিলোমিটার লম্বা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপর মঞ্চ থেকে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মোদি বলেন, ‘আগে বড় শহরের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হত। যোগীজি সেই ধারণা পালটে দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বর্তমানে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। ‘এই এক্সপ্রেসওয়ের হাত ধরে বুন্দেলখণ্ডে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আসবে।’
এ দিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে নাম না করে বিরোধীদেরও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিরোধীদের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিকে খয়রাতি বলে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। মোদি বলেছেন, আজকাল আমাদের দেশে বিনামূল্যে রেওয়ারি (রাবড়ি) বিতরণ করে ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিকাশের জন্য এই সংস্কৃতি ঘাতকের মতো। এই খয়রাতি সংস্কৃতি থেকে দেশের নাগরিকদের ও বিশেষ করে যুবদের সতর্ক থাকার দরকার রয়েছে। তাঁরা আপনাদের জন্য কখনও নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বানাবে না। নতুন এয়ারপোর্ট বা ডিফেন্স করিডোর বানাবে না। এই সংস্কৃতির, রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে আম জনতাদের বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করে তারা তাঁদের কিনে নেবে। মোদি বলেন, এটির উদ্বোধনের কথা ছিল আগামী ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু আমরা ডেডলাইনের দিকে লক্ষ্য রাখি। তাই সময়ের আগেই শেষ হয়েছে প্রকল্পের কাজ।
যোগী রাজ্যে চার লেনের এই হাইওয়ের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। শিলান্যাসের ২৮ মাসের মাথায় চালু হল ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে। তা তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। চিত্রকূট থেকে শুরু হয়ে এটাওয়ায় গিয়ে শেষ হয়েছে বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে। উত্তরপ্রদেশের ৭ জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এই রাস্তা। যা তৈরি হওয়ায় সড়ক পথে দিল্লি যাওয়ার সময় এক ধাক্কায় কমে গেল প্রায় ৪ ঘণ্টা। এবার থেকে এই রাস্তা ধরে মাত্র ৬ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে রাজধানীতে। আগে দিল্লি যেতে লেগে যেত ১০ ঘণ্টা। এই রাস্তা ধরে ৬ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে রাজধানীতে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এখনও প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি। এরকমই ‘চালতাউ’, সংস্কৃতে চলছে বিজেপি। অর্ধেক কাজ করে বাহবা কুড়োচ্ছে তারা।