পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ডোকলাম ইস্যুতে চিনের সঙ্গে ভুটানের প্রীতি চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সদ্য বলেছেন, ডোকলাম সীমান্ত সংঘাত নিয়ে কথা বলার জন্য চিনেরও অধিকার রয়েছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ডোকলাম ইস্যুতে মন্তব্য, দেশটির সঙ্গে চিনের বিশেষ সখ্যতার চিত্রই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
তবে ভুটান জানিয়েছে, তাদের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আগে যা অবস্থান ছিল, এখনও তাদের সেরকমই অবস্থান আছে। এদিকে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সোমবার তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক। ভুটানের রাজাকে বিমানবন্দরে সাদরে অভ্যর্থনা জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাজার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে চিন এবং ডোকলাম বিতর্কের প্রসঙ্গ এসেছে বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার বিদেশ সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা জানিয়েছেন, মোদির সঙ্গে নামগিয়েলের বৈঠকে দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ এবং দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠকে সরাসরি ডোকলাম এবং চিনের প্রসঙ্গের কথা বলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভুটান। বিশেষত চিন যেখানে প্রথম থেকেই বিভিন্নভাবে ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে। ডোকলাম নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ গত কয়েক বছরে আরও স্পষ্ট হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেই আশ্চর্যজনকভাবে এই প্রথমবার সমস্যার সমাধানে ভুটান বেজিংয়ের অংশগ্রহণ চেয়েছে। ভুটানের এই আচরণ ভারতকে যে অস্বস্তিতে ফেলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা অভিযোগ করেছিল যে চিন এবং ভারত সীমান্ত লাগোয়া ডোকলামে ভুটানের জমিতে ঢুকে চিনা ফৌজ ঘাঁটি গেড়ে সামরিক নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে। কয়েকটি উপগ্রহচিত্রেও তা সামনে আসে। কিন্তু কেন্দ্রের এই অভিযোগকে কার্যত অস্বীকার করে আগেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং জানিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যমে যা-ই প্রকাশিত হোক না কেন, ভুটানি এলাকায় চিন কোনও নির্মাণকার্য চালাচ্ছে না। আমাদের এলাকায় অনুপ্রবেশ ঘটেনি। আন্তর্জাতিক সীমান্তে কোনও এলাকা আমাদের, তা আমরা জানি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে দেন, ডোকলাম সমস্যায় কোনও দেশই ছোট বা বড় নয়। তিন দেশের মতই সমান গুরুত্বপূর্ণ।