পুবের কলম প্রতিবেদক: দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। হিন্দু-মুসলিম বলে নিজেদের মধ্যে বিভাজনও বাংলায় আগে ছিল না। বর্তমানে এসব বাড়ছে কেন, তা সবাইকে বুঝতে হবে। যারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষের জীবন-জীবিকাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদের পরাস্ত করতে হবে। বুধবার বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ কবীর সুমনের আহ্বানে বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশ থেকে এমনই বার্তা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, হাওড়া ও হুগলির বেশ কিছু এলাকায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান কবীর সুমন। তাঁর আহ্বানে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরাও রবীন্দ্রসদন চত্ত্বরে কবীর সুমনের সঙ্গে একত্রিত হন। সেই সমাবেশ থেকেই সাধারণ মানুষকে ময়দানে নামার আহ্বান জানানো হয়।
এ দিনের সমাবেশে কবীর সুমন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুর রফিক, কবি প্রসূণ ভৌমিক, অধ্যাপক ইমানুল হক, বর্ণালী মুখার্জি, কৃর্তিমান ঘোষ, শাদাব মাসুম, তাহেরুদ্দিন প্রমুখ।
প্রাক্তন সাংসদ ও বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ কবীর সুমন চলমান নানান সমস্যার কথা তুলে আনেন এবং সমাজকে এইসব ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে সবাইকে একজোট হয়ে ময়দানে নামার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আর অপেক্ষা নয়, আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। যারা দাঙ্গাবাজ তাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করতে হবে। কবীর সুমন বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘দেশদ্রোহী বিজেপি, ভারত বিরোধী বিজেপি, বিজেপি সংবিধান বিরোধী’। কলকাতায় মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় না কেন, সুশীল সমাজের কাছে সেই প্রশ্নও তোলেন কবীর সুমন।
প্রসূণ ভৌমিক সরাসরি অভিযোগ করেন, হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রি¡ড়ার ঘটনায় বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে, যাতে আগামীতে এমন ঘটনা না ঘটে।’ একইভাবে দাঙ্গা-পীড়িত এলাকার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন শাদাব মাসুম। তিনি বলেন, আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, হিন্দু-মুসলিম সবাই বলছেন কীভাবে কি ঘটল বুঝতে পারছি না। হামলাকারীদের আমরা কেউ চিনি না।
এ দিকে বর্ণালী মুখার্জি, ভানু সরকার, কৃর্তিমান ঘোষ সবাই বলেন, হামলার ঘটনা পরিকল্পিত। সরকারের কাছে দাবি করব ধর্মীয় মিছিলে অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হোক। আরএসএস’কে ব্যান করার দাবি তোলেন বর্ণালী মুখার্জি।