পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমানে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘দেশের ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে তা প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ফায়দা করবে।’ কথাটি মোটেই ঠিক নয়। যদি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তা এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলবে। বিজেপি সংবিধানকেই ধ্বংস করতে চায়।’ বৃহস্পতিবার নদিয়ার তেহট্টে মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই ছিলেন খুবই আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের মোদি সরকার একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে ঠেলে দিতে চাইছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে নাগরিকত্ব ইস্যুতেও প্রবল সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে এমন সম্প্রদায়গুলিকে নাগরিকত্ব নিয়ে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যে, যদি অভিন্ন দেওয়ানি আইন (ইউসিসি) তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি-দের অধিকারকে তছনছ করে দেবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি অভিন্ন দেওয়ানি আইন সম্পর্কে ভুয়া প্রচার করে বলছেন, এর দ্বারা সকলেই উপকৃত হবেন। কিন্তু তা পুরোপুরি মিথ্যা। কিন্তু আমরা কখনই এগুলি হতে দেব না। তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ১০ বছর ধরে বিজেপি মতুয়া ও অন্য অনগ্রসর শ্রেণিগুলির কাছে মিথ্যা প্রচার করে চলেছে যে, সিএএ-র মাধ্যমে তারা নাগরিকত্ব পাবে। কিন্তু আসলে এটা হচ্ছে একটি চাতুরি। যার মাধ্যমে মতুয়া ও অন্য অনগ্রসর শ্রেণির ভারতীয় নাগরিকত্বই তারা কেড়ে নেবে। আর তাদের ধরে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররে মধ্যে এক বিরাট সংখ্যকই হচ্ছে মতুয়া। মমতা আরও বলেছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায় ও জাতি-উপজাতিদের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং উপাসনার স্বাধীনতা কেড়ে নেবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভোটদাতাদের সাবধান করে বলেন, বিজেপি ইলেকশন কমিশনকে ব্যবহার করে ভোটের শতাংশ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। ভোটের দিন যত শতাংশ ভোট পড়েছে বলে বলা হচ্ছে, পরে তা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি ভোটের শতাংশ নিয়ে ম্যানিপুলেট করছে। তিনি বলেন, বিজেপি নেতৃবৃন্দ আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের পশ্চিমবাংলায় ব্যবহার করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমবাংলার ঐক্য ও অখণ্ডতাকে কোনও মতেই নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। রাজ্যের মন্ত্রী, আধিকারিক এবং জনসাধারণকে ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে নিজের স্বার্থে কাজ করানোর নীতি পশ্চিমবাংলায় সফল হবে না।