পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষায় আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে সমাজ। ডিজিটালি কাজে অভ্যস্থ প্রায় কমবেশি সকলে। সেখানে এখনও কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের সামনে শিখন্ডি করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে নারীকে। মধ্যপ্রদেশের দামোহ গ্রামে ঠিক সেই রকই একটি ঘটনা সামনে এল। ধর্মের দোহাই দিয়ে চলেছে ব্যাভিচার। নারীকে নানাভাবে শোষণ করার কাজ অব্যাহত রেখে চলেছে এক শ্রেণির সমাজ।
ঈশ্বরের সামনে নারীদের ‘নগ্ন’ হয়ে আকুতি জানালেই নাকি বৃষ্টি হবে সেই গ্রামে! এখনও মধ্যপ্রদেশের দামোহ গ্রামে চলেছে ধর্মের নামে চলেছে এই ধরনের কুসংস্কার। সমাজের কর্তাব্যক্তিদের কথায় দেবতাদের তুষ্ট করার জন্য ‘নগ্ন’ হয়ে হাঁটতে হয় নাবালিকাদের। গ্রামের মানুষের বিশ্বাসে ভর করে এই পরম্পরা চলে আসছে। অংশ নিতে হয় পাঁচ বছর বয়সি মেয়েদের।
সম্প্রতি রবিবার বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের দামোহ জেলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বানিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিশ্বাস অনুসারে, গ্রামের নাবালিকা মেয়েদের কাঁধে কাঠের লাঠি রাখা হয়। সেখানে ব্যাঙ বাধা থাকে। দুইহাত দিয়ে সেই লাঠিকে তাদের ধরে রাখতে হয়। এরপর ঈশ্বরকে তুষ্ট করার জন্য সম্পূর্ণ ‘উলঙ্গ অবস্থায়’ তাঁদের ঘুরতে বলা হয়। তাদের পাশে মহিলারা ঈশ্বরের নাম গান করে থাকেন।
এই ঘটনার দুটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে এসে পৌঁছেছে এই ভিডিও। যেখানে নাবালিকাদের সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে। জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) দামোহ জেলা কালেক্টরের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
দামোহ পুলিশ সুপার ডি আর তেনিওয়ার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা এই ধরনের ঘটনার পিছনে রয়েছে সেই ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন-অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দামোহ জেলার কালেক্টর এস কৃষ্ণা চৈতন্য জানান, এনসিপিসিআর-এর তরফ থেকে চিঠি পেয়েছি। যদি প্রমাণিত হয় নাবালিকাদের বাবা-মায়েরাও এই কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িত, তাহলে তাঁদের সচেতন করা হবে। তবে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।