এস জে আব্বাস ও সফিকুল ইসলাম (দুলাল): পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের উদ্যোগে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে শনিবার ২৯তম জাতীয় সংখ্যালঘু অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন ডা. মমতাজ সংঘমিতা– রাজ্যের আইন বিচার ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক– সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী গোলাম রব্বানী– প্রাণী সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ– উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ ও জলপথ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন– জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা– জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা– পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন– জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক কল্যাণ কুমার দাস– আল-আমীন মিশনের কর্ণধার নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন– এমন কোনও দেশ নেই যেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নেই। কোথাও হিন্দু– কোথাও মুসলিম– কোথাও খ্রিস্টান– শিখ প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কোথাও না কোথাও সংখ্যালঘু। আজ সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ৪০০ কোটি থেকে বেড়ে ৪–৭০০ কোটিতে পৌঁছেছে। এটা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন– সংখ্যালঘুরা হলেন দেশের সৌন্দর্য।
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন– রাজ্যে কোথাও ভেদাভেদ নেই। যে সমস্ত প্রকল্প হয়েছে তা সবার জন্য। আমরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়কে বাংলার রপকার যদি বলি– তাহলে এত দেনা মাথায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করে চলেছেন তাতে তাঁকে বাংলার নব রূপকার বলতে দ্বিধা নেই। বাংলার মানুষকে মাথা উঁচু করে চলার প্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন তিনি।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন– সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে বাঁচার অধিকার– ধর্মাচরণের অধিকার– শিক্ষার অধিকার। ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এই মর্মবাণীকে সুকৌশলে বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে একটা শ্রেণি। তাদের অভিসন্ধি রুখে দিন। ৬ ডিসেম্বরের কালো দিনের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি জানান– এই ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে জাতীয় সংখ্যালঘু অধিকার দিবস পালনের যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জোরালো ভাবে বলেন– সংখ্যালঘুরা দয়ার পাত্র নন– এটা তাদের নাগরিক অধিকার। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন– মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অনেকে অভিযোগ করেন তিনি নাকি সংখ্যালঘুদের তোষণ করছেন– কিন্তু জেনে রাখা উচিত একটা জাতি যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে সংখ্যালঘু সমাজকে এগিয়ে যেতে দিয়ে আসলে দেশকে এগিয়ে দিতে চাইছেন।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন– সংখ্যাগুরুদের দায়িত্ব নিতে হবে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার। পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন বলেন– সংবিধানের প্রথম লাইনেই আছে আমরা ভারতের জনগণ। অতএব সবাই মিলে আমরা ভারতবাসী। সংখ্যালঘু জনজাতির অধিকার রক্ষায় আমরা পুলিশ-প্রশাসন সর্বতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিচ্ছি।