পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে বার্ড ফ্লু নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কোভিডের থেকে ভয়ংকর মহামারী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পাখির শরীরের পাশাপাশি সম্প্রতি গরুর দুধেও মিলেছে এই রোগের ভাইরাস। তাতেই চিন্তা বাড়ছিল। তবে এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সম্প্রতি সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস H5N1 মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে পশু-পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশগুলিকে সতর্ক করেছে ‘হু’। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রথম থেকেই বিষয়টির উপরে কড়া নজরদারিতে রেখেছে। পাশাপাশি মরসুমি যত রকমের ফ্লু রয়েছে, সব দিকেই নজর রয়েছে তাদের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা ‘মনিটরিং’ চালাচ্ছে। এখনও অবধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে ফ্লু নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভারতেও বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে একটি পোলট্রি ফার্মের কাজে যুক্ত থাকা ৮ জনকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। কেরলের আলাপ্পুজাহতেও এই ভাইরাসের দেখা মেলে। দ্য হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা H5N1 ভাইরাস প্রাথমিকভাবে পাখির শরীরে থাবা বসালেও মানবদেহেও তা যেতে পারে।
শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঋতু পরিবর্তন কিংবা অতিরিক্ত গরম-ঠান্ডায় নানা ফ্লুয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আর কোভিডের পর থেকে খুব বেশি করে একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে, কোমর্বিডিটি। যাদের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিশেষ করে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে এই সিজেনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায়।
১৯৯৬ সালে প্রথম বার্ড ফ্লু বা এইচ৫এন১ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ে অনেকে মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকে। হাঁস-মুরগির ডিম খাওয়াও বন্ধ করে দেন অনেকে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে একটি পোলট্রিতে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস পাওয়া যায় অধিকাংশ মুরগির শরীরে। পাশাপাশি ওই এলাকারই একটি গোয়ালে একাধিক গোরুর শরীরে এই জীবাণু পাওয়া যায়। সঙ্গে তাধের দুধ পরীক্ষা করেও চক্ষু চড়কগাছ হয় বিজ্ঞানীদের। গোরুর দুধে মেলে H5N1 ভাইরাস।