পুবের কলম প্রতিবেদক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্য এবং উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ মানুষের কাছে পুনরায় তুলে ধরতে ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজ্য কারিগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ তাদের বিগত বছরের সাফল্য, বিকাশ এবং অবদান তুলে ধরল। শুক্রবার দুপুরে নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া তিন-এ কারিগরি দফতর ভবন অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর তুলে ধরলেন তার দফতরের ১১ বছরের উন্নয়ন। করোনা পরিস্থিতিতে গত দু’বছর দফতরের অনেক কাজ থমকে গেছিল। সে কথা মনে করিয়ে মন্ত্রী তুলে ধরলেন তাঁর সরকারে সাফল্যের কর্মযজ্ঞ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের আগের সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, সে বিষয়টিও টেনে আনেন তিনি। মন্ত্রী দিলেন তারই পরিসংখ্যান। বললেন, ‘২০১১ সালে আগে রাজ্যে মোট ৮০ টি আইআইটি কলেজ ছিল। সেই সংখ্যা পাল্টে এখন হয়েছে ২৯৮ টি আইআইটি কলেজ। যেখানে পাঠরত ৮৭,৪৬০ জন। পলিটেকনিকের ক্ষেত্রে ৩৭ টি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৫ টি কলেজ। সেখানে বিগত বছরের কমবেশি ১৭ হাজার ইন্টার্ন সংখ্যা যা দ্বিগুণ হারেও বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ হাজারের ধাক্কায়’। ভোকেশনাল ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে দুই সরকারের মধ্যে বিরাট ফারাক রয়ে গেছে বলে মনে করছেন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়। কর্মক্ষেত্রেও দিশা দেখাচ্ছে কারিগরি দফতর। ইদানিং দুর্গাপুর, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদা- সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফতরের ‘জব ফেয়ার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রী বলছেন, ওই সমস্ত জব ফেয়ার মিলিয়ে সেখানে কমবেশি ৯ হাজার জনকে অন দ্যা স্পটে চাকরি দেওয়া গেছে। অন্য প্রক্রিয়ায় চাকরিতে যুক্ত করা গেছে আরও ২৮ হাজার জনকে। মন্ত্রী জানান, কর্মসূত্রেও বিদেশে পাঠানো হয়েছে দক্ষ ৪০ জনকে। কারিগরি দপ্তর সূত্রে খবর, এছাড়াও আগামী ১২ মে শিলিগুড়ি ও খড়্গপুরে জব মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই দুই ফেয়ারে ৫,৫০০ জনকে কর্মসংস্থান পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে মৌ চুক্তিতে গাঁটছড়া কারিগরি দফতর। গোটা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সচিব কৃষ্ণা গুপ্তা সহ আরও অনেকেই।