জিশান আলি মিঞা, ডোমকল: টিভিতে ফল ঘোষণা হচ্ছে। টিভির সামনে বসে শিক্ষক বাবা ও তার দুই মেয়ে। তাদের একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মা রান্নাঘরে ব্যস্ত রান্নার কাজে তবুও কান টিভির আওয়াজে। একে একে মেধা তালিকা ঘোষণা হচ্ছে। প্রথম থেকে সপ্তম, অষ্টম পর্যন্ত ঘোষণার পরেও নাম না থাকায় কার্যত হতাশ হয়েছিলেন ডোমকলের মেধাবী ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকেরা। কিছুক্ষণ বাদেই নবম স্থান অধিকার করার কথা ঘোষণা হতেই আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি কেউই। ডোমকলের বাবলাবোলা এলাকার ওই মেধাবী ছাত্রীর নাম মেমোরি মিম জাহান। সে ডোমকল গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছে সে। মেমোরি বলে, আশা ছিল মেধা তালিকায় থাকব। সেটা হওয়াতে খুশি। তবে ইতিহাসে নম্বর কিছুটা বাড়লে প্রথম দিকেই থাকতাম।
তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ডোমকল মহকুমার বাসিন্দারাও। ডোমকলের একাংশের বাসিন্দারা বলছেন, এতদিন মাদ্রাসা পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ডোমকলের নাম একাধিকবার স্থান পেলেও মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এই প্রথম।
মেমোরি মিম জাহানের আব্বা কামরুজ্জামান দেবীপুর হাই স্কুলের শিক্ষক। মা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। দুই বোনের মধ্যে বড় মেমোরি বরাবরই মেধাবী। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানশাখায় উচ্চমাধ্যমিকের পর চিকিৎসক হতে চায় সে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা(মেমোরির ডাক নাম) বরাবরই লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু পড়াশোনায় মেধাবী। তার এই সাফল্যে খুশি ডোমকলবাসী। শুক্রবার ফল প্রকাশের খবর পাওয়ার পরেই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে হাজির হন ডোমকল থানার আইসি জ্যোতির্ময় বাগচি।