বিশেষ প্রতিবেদন: মিডিয়ায় ও সিনেমায় ক্রমবর্ধমানভাবে মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন ও প্রান্তিক করার চেষ্টা চলছে আমেরিকায়। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অ্যানেনবার্গ ইনক্লুশান ইনিশিয়েটিভের এক রিপোর্টে এই তথ্য মিলেছে। সংস্থাটি নানা উদ্যোগ ও সমীক্ষার মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য মোকাবিলায় কাজ করে থাকে।
অ্যানেনবার্গের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের ২৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। কিন্তু জনপ্রিয় টিভি সিরিজে মুসলিম চরিত্রের উপস্থিতি ১.১ শতাংশেরও কম। সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় প্রায়ই মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৯৮ মুসলিম ব্যক্তিত্বের মধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ও ৪০ শতাংশ সহিংস হামলার লক্ষ্যবস্তু।’ গবেষণা অনুযায়ী, জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে মুসলমানদের চিত্রায়ন সম্পর্কে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে। প্রথমত মুসলিম পুরুষদের খারাপ ভাবে তুলে ধরা হয় ও মুসলিম নারীদের পর্দার আড়ালে দেখানো হয়।
জনগণকে একটি বাঁধাধরা গল্প বলা হতে থাকে যে মুসলিম নারীরা সবসময় পর্দার ভেতরে থাকে এবং এটিকে নিপীড়নের প্রতীক হিসাবে প্রচার করা হতে থাকে। এভাবে সাধারণ মানুষের মনে ধারণা জন্মায় যে মুসলিম নারীরা হিজাব বা নিকাব খুলে দিলেই স্বাধীনতা পাবে। কিন্তু আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ও এক শ্রেণীর মানুষের তৈরি করা। জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে পুরুষদের সামনে মুসলিম নারীদের বিনয়ী ও ভীরু হিসাবেও দেখানো হয়।
এভাবেও মুসলিম নারীদের ও পুরুষদের সম্পর্কে এক ভুল ধারণা প্রচার করা হয়ে থাকে। গবেষণা বলছে, কোনও মুসলিম ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিলে প্রথমেই তার ধর্ম নিয়ে কথা চলে এবং দেখানো হয় কীভাবে একজন মুসলিমের জীবনে ধর্মই সবকিছু। এভাবে সেই মুসলিম ব্যক্তির অন্যান্য গুণাবলীগুলি তুলে ধরা হয় না। গবেষণা বলছে, এই ধরনের গতানুগতিক চিন্তাধারার কারণেই মুসলিমরা ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং মার্কিন সমাজের কার্যক্ষম সদস্য হিসাবে সমন্বিত হচ্ছে না।