পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সফিকুল আলিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল মসজিদে নামাজের জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকার।
ঠিক কি ঘটেছিল? গত বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি – দোমহানিতে লাইনচ্যুত হয় বিকানের- গৌহাটি এক্সপ্রেসের ১২ টি বগি। প্রাণ হারান ৯জন। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছিল বিভিন্ন হাসপাতালে।
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে তিনি শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছিলেন আহতদের। সেই সময় তিনি কথা বলেন আসামের দারাং জেলার ধুলার বাসিন্দা সফিকুল আলির সঙ্গে। সফিকুল কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী কে জানান তাঁর কাছে মোবাইল নেই তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হচ্ছেনা।
রেলমন্ত্রী নির্দেশ দেন অবিলম্বে যেন সফিকুল আলির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অফিসাররা জানান, আলি তাঁর প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বর দিলেও তিনি আলির পরিবারকে চিনতে অসমর্থ হন।
শেষ পর্যন্ত রেল কর্তারা স্থানীয় মসজিদে পুরো বিষয়টা জানান। মসজিদের লাউডস্পিকারে বারংবার ঘোষণা করা শুরু হয়। আলির পরিবারের সদস্যরা সেই ঘোষণা শুনে মসজিদে গেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রেলের অফিসাররা। সফিকুল আলির বড় ভাই ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে রেল সূত্রে খবর।