নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট। আর ওই ভোটের জন্য কোমর কষে ঝাঁপাল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুক্রবার উত্তর-পূর্বের একমাত্র বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যটির জন্য নতুন রাজ্য কমিটির পাশাপাশি নির্বাচন কমিটিও ঘোষণা করল ঘাসফুল শিবির।
ত্রিপুরায় দলের ইনচার্জ হিসেবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে দলে আসা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে। নয়জনের নির্বাচনী কমিটিতে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, আশিস লাল সিং ও পান্না দেব। এর মধ্যে আশিসলাল সিং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিকের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসেছিলেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নতুন রাজ্য কমিটির পদাধিকারীদের বিধানসভা ভোটের জন্য এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
বিধানসভা ভোটের ৬০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি জনসংযোগেও ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগকে সামনে এনে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এক বছর আগে দল প্রথমবার পথচলা শুরু করার পরে বিভিন্ন দল থেকে আসা যে সব নেতা-কর্মীরা অভিমানে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন তাঁদের ফের সক্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বিধানসভা ভোটের প্রচারে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যটিতে প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী জানুয়ারি মাসে দুজনেই ত্রিপুরায় যেতে পারেন।
যাতে বিজেপি বহিরাগত বলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে না পারেন তার জন্য নির্বাচনী কমিটিতে রাজ্যের নেতা-নেত্রীদেরই রাখা হয়েছে। নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রদেশ সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে আশিস লাল সিংকে। সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। পদাধিকারী সদস্য হিসেবে রয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু সাহা, পান্না দেব, জাহির উদ্দিন, সঞ্জয় দাস, সমরেন্দ্র ঘোষ, শিবম সাহা, স্বপ্নদীপ চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রচার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে শিবপ্রসাদ চৌধুরিকে। ইস্তেহার কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন কৃষ্ণধন নাথকে।