পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাতভর ধরে টাকা গুণে বেলঘরিয়ার রথতলা ফ্ল্যাট থেকে ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর কোথায় কোথায় টাকা রয়েছে, তাই খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ইডি।
অর্পিতার নামে ,বেনামে আর কত সম্পত্তি রয়েছে। ইডির নজর এখন সেদিকেই। এদিকে অর্পিতা বাড়ি থেকে এত এত টাকা উদ্ধার হলে বেলঘরিয়ায় আবাসনে মেনটেন্যান্স চার্জেস এখনও বকেয়া রয়েছে অর্পিতার। এমনকী সেখানকার পুজোর চাঁদা দেবেন বলেও দেননি অর্পিতা।
আবাসন কমিটির দেওয়া নোটিশে দেখা গেছে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২এ নম্বরের ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স বাবদ ১১,৮১৯ টাকা বাকি রয়েছে অর্পিতার।
গতকাল অর্পিতা বেলঘরিয়ার পৈতৃক আবাসনে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।
বেলঘরিয়ার রথতলায় অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে। দুটি ফ্ল্যাটেই তালা দেওয়া ছিল। ফ্ল্যাটের চাবি না মেলায় তালা আবাসনের সেক্রেটারিকে সামনে রেখেই দুটি ফ্ল্যাটেরই তালা ভাঙা হয়। ব্লক টু আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে কিছু মেলেনি। তবে ব্লক ফাইভের আবাসনের অর্পিতার অপর একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন ইডি গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালাতেই চোখ ছানাবড়া। এর পরে বিপুল টাকার হদিশ পান তার। বেলঘরিয়া টাউন ক্লাব হাউজের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে পর্যন্ত ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা,৬ কেজি সোনার বিস্কুট, প্রচুর রুপোর কয়েন উদ্ধার হয়। ফ্ল্যাটের আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও অনেক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। মোট ৯ টি টাকা গোনার মেশিন দিয়ে টাকা গোনা হয়। এর মধ্যে ৪টি জাম্বো মেশিন ও ৫ টি ছোটো মেশিন। জাম্বো মেশিনে প্রতি ৩ সেকেন্ডে ১০০ টি করে টাকার নোট গোনা যায়। বুধবার বেলঘরিয়ায় অর্পিতার রথতলার ফ্ল্যাটে তিনটি গাড়িতে পৌঁছন ইডির ১২ জন আধিকারিক ৷ রাত থেকে শুরু হয়ে ভোর ৬ টা পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলে।