পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মোট ১৫ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে কেন্দ্র রবিবার ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিল।এই ১৫ জন বিধায়ককে আপাতত সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।যাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন,রমেশ বোর্নারে, মঙ্গেশ কুডালকার, সঞ্জয় শিরসাট, লতাবাই সোনাওয়ানে, প্রকাশ সুরভে, সদানন্দ সারানাভঙ্কর, যোগেশ দাদা কদম, প্রতাপ সারনায়েক, যামিনী যাদব, প্রদীপ জয়সওয়াল, সঞ্জয় রাঠোড়, দাদাজি ভুসে, দিলীপ ল্যান্ডে, বালাজী কল্যাণার এবং সন্দীপন ভূমরেকে।
গুয়াহাটিতে উপস্থিত শিবসেনা বিধায়করা মহারাষ্ট্রে থাকা নিজেদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরেই বিদ্রোহী গোষ্টীর নেতা একনাথ শিন্ডে বলেন এরপর যদি বিদ্রোহী বিধায়কদের কোন ঘটনা ঘটে তারজন্য দায়ি থাকবেন উদ্ধব এবং আদিত্য ঠাকরে।শনিবার উদ্ধব ঠাকরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে বেশকয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়কের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই খবর পাওয়ার পরেই শিবসেনা নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি আরও জোরালো হয়।
তবে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বিদ্রোহী বিধায়কদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। রাউত বলেন “ সবার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের, কারুর নিরাপত্তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।”অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের শিন্ডের ছবিতে চপেটাঘাত করতে দেখা যায়। এইপ্রসঙ্গে শিবসেনা নেতা গজানন থারকুদে বলেন, “এই ক্ষোভ একটাই বার্তা দেয় যে শিব সৈনিকরা বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করবে না।” মুম্বাইতে, শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’ অফিসের বাইরে বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী সমবেত হন এবং শিন্দে এবং বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে একটি দুচাকার র্যালিও বের করেন। এক শিবসৈনিক বলেন “হিন্দুত্ব উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের যদি কিছু বলতেই হয়, তাহলে তাদের গুয়াহাটিতে না বসে মুম্বইয়ে আসা উচিত।” বিজেপি নিজেকে অবশ্য শিবসেনার এই অভ্যন্তরীন কোন্দলের মধ্যে জড়াতে রাজি নয়। যদিও কোনকোন সূত্রের দাবি শনিবার গভীর রাতে গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে গুজরাতের বরোদায় গিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও সেরে এসেছেন শিন্ডে।