পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাদল অধিবেশনের একদম শেষ লগ্নে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরিকে। লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের দলনেতা। তাকে সাসপেন্ড করা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। জানা গিয়েছে, অধীরের বক্তব্য শুনবে লোকসভার অধিকার রক্ষা কমিটি। সূত্রের খবর, ৩০ আগস্ট তাঁকে কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে কমিটির সমস্ত সদস্যই অধীরের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার পক্ষে। তাদের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো বিরোধী দলের পাশাপাশি বিজেপি সাংসদরাও রয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সকলের নরম মনোভাবের কারণে সাপেনশন তুলে নেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, অনাস্থা প্রস্তাবে বিতর্ক চলাকালীন দুর্ব্যবহারের অভিযোগে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরিকে সাসপেন্ড করা হয়।স্পিকার ওম বিড়লা ‘অসংসদীয় আচরণের’ জন্য তাকে সাসপেন্ড করেন। বহরমপুরের সাংসদ অধীরের সাসপেনশন নিয়ে বিরোধী শিবির ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।
বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার ঘটনা আগে ঘটেনি বলে তাদের দাবি। অধীর তার ভাষণে বলেছিলেন, যব ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ থে, তব দ্রৌপদী কা বস্ত্র হরণ হুয়া থা। আজও রাজা অন্ধ হয়ে বসে আছেন। মণিপুর ও হস্তিনাপুরে কোনও ফারাক নেই। মণিপুর নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন ‘নীরব’ মোদি হয়ে গিয়েছেন।