পুবের কলম প্রতিবেদক: রোগীকে রেফার করা হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। ওই রোগীকে ভর্তিও করা হচ্ছে সেখানে। এর পর চিকিৎসার খরচ হিসাবে হচ্ছে বিশাল অংকের টাকার বিল। এ বার রোগীর পরিবার যখন ওই বিলের টাকা দিতে পারছে না, তখন যেন রোগীর পরিবারের হয়ে ওই টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে লোন প্রদানকারী সংস্থা। এ দিকে, লোনের বোঝা চাপছে রোগীর পরিবারের ঘাড়ে।
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে এমনই ‘লোন-চক্র’-র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভবনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। একই সঙ্গে পুলিশকেও জানানো হল গোটা বিষয়টি, যাতে বাড়ানো হয় নজরদারি।
বেসরকারি হাসপাতালের এই ‘লোন-চক্র’-র বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন তথা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন-এর চেয়ারম্যান, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেস। স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে এ দিন এমনই জানানো হয়েছে, এ বার নিউ আলিপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে।
আনন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও এই একই ধরনের অভিযোগ আগে এসেছিল, রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে। এর পরে বিল হচ্ছে। রোগীর পরিবার যখন টাকা দিতে পারছে না, তখন হাসপাতালে ‘লোন কোম্পানি’ বসে আছে, একটা ‘চক্র’ আছে। সেখান থেকেই বিলের টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর লোনের বোঝা ঘারে চাপানো হচ্ছে রোগীর পরিবারে।
স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান এ দিন জানান, হাসপাতালের কাজ হচ্ছে রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। লোন প্রদানকারী সংস্থার ব্যবসা করানো কাজ নয় হাসপাতালে। তিনি জানান, এর আগে আনন্দপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালকে কড়া নজরে রাখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছিল। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।