পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র অকালপ্রয়াণ থেকে শিক্ষা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে নজরুল মঞ্চে আর কলেজ ফেস্টের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেএমডিএ-র তরফে এমনই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। সেই সুপারিশেই সিলমোহর দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আগেই নাকি নজরুল মঞ্চে কলেজ পড়ুয়াদের অনুষ্ঠান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কেএমডিএ। যেহেতু কলেজ ফেস্টে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়, সেকথা ভেবেই এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও পরে তা নিয়ে আর কথা এগোয়নি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ঘটে যায় এই অঘটন।
জানা গিয়েছে, নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৮২টি। মঙ্গলবার সেখানে প্রবেশ করেছিল ৭ হাজার জন। আয়ত্ত্বের বাইরে লোক সমাগম হওয়ায় হলের এসিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গায়ক। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতিই কেকে-র মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য, কেকে-র জনপ্রিয়তা এতটা বেশি যার জন্য প্রচুর ভিড় হয়েছিল কলেজ ছাত্রছাত্রীদের। পাঁচিল টপকেও লোক ঢুকেছে। আটকানো যায়নি জনস্রোতকে। কলেজ স্টুডেন্টদের ওপর তো আর লাঠিচার্জ করা যায় না।’
অন্যদিকে, এসি বিকল হওয়া নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠে সে-প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ২৭০০-র জায়গায় যদি ৭০০০ লোক ঢুকে পড়ে! অত্যধিক ভিড়ে গরম তো লাগবেই। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হবে।’
তাঁর আরও সংযোজন, কেএমডিএ-র তরফে দু-দিন আমায় বলা হচ্ছিল যে, কলেজগুলোকে আর নজরুল মঞ্চকে দেবেন না। কারণ ওরা সিটের উপর উঠে নাচানাচি করে। সিটগুলো অর্ধেক ভেঙে যায়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই এই অঘটন ঘটে যায়।’
উল্লেখ্য, কেএমডিএ-র অধীনস্থ নজরুল মঞ্চ। আর এই কেএমডিএ-র বোর্ড চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। আবার পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও তিনি। ফলে কলেজ ফেস্ট বন্ধের সুপারিশে যে সবুজ সংকেতই মিলতে চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।