পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রতিবেশী নেপাল (৭৬), বাংলাদেশ (৭৬), মায়ানমার (৭১) এবং পাকিস্তানের (৯২) মতো দেশগুলো ‘ভয়াবহ ক্ষুধা’ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই দেশগুলোর থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (GHI) ১০১ তম স্থানে নেমে গেল ভারত। আইরিশ সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং জার্মান সংগঠন ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের যৌথ প্রতিবেদনে ভারতের এই ক্ষুধার মাত্রাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে, ১০৭ টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ৯৪ তম। বর্তমানে ১১৬ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০১তম। বৃহস্পতিবার গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের GHI স্কোরও হ্রাস পেয়েছে। ২০০০ সালে যেখানে স্কোর ছিল ৩৮.৮ সেখানে ২০১২ থেকে ২০২১-এর সময়পর্বে এই স্কোর ২৮.৮ – ২৭.৫-এর পরিসরে রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই GHI স্কোর গণনা করা হয়ঃ
GHI স্কোর মূলত চারটি সূচকে গণনা করা হয়-
• অপুষ্টি
• শিশু অপচয় (Wasting) (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে যাদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন, তীব্র অপুষ্টি রয়েছে)
• শিশুর বৃদ্ধি স্টান্টিং (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা যাদের বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম, বৃদ্ধি অত্যন্ত ধীর, দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টির প্রতিফলন)
• শিশু মৃত্যুহার (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার)।
খাদ্য সুরক্ষা একাধিক কারণে অনিশ্চিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে যুক্ত অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জগুলি আরও বেশি ক্ষুধা সৃষ্টি করছে।’কোভিড-১৯ এবং ভারতে মহামারী সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতে বিশ্বব্যাপী শিশু অপচয়ের হার সবচেয়ে বেশি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুনঃ