পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত সাংবাদিক তথা প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্র। বুধবার ভোররাতে দিল্লির নিজ বাসভবনেই জীবনাবসান হয় এই প্রবীণ সাংবাদিকের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। কলকাতায় স্টেটসম্যান হাউজের সাংবাদিক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন চন্দন মিত্র। কিছুদিনের জন্য হংসরাজ কলেজে অধ্যাপনাও করেন। একসময় লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তবে গেরুয়া দলে মোদি-শাহ জমানা শুরুর পর থেকেই তাঁর গুরুত্ব কমতে শুরু করে।
সাংবাদিকতার জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন একাধিক পত্রিকায়। পায়োনিয়ার নামে বিখ্যাত একটি সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘদিন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন চন্দন মিত্র। এছাড়াও দ্য সানডে অবজারভার, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতো কাগজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০০৩ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করা হয় তাঁকে। পরে ২০১০-এ ফের দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির সমর্থনে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত হন তিনি।২০১৬তে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়।২০১৮ সালে চন্দন মিত্র তৃণমূলে যোগ দেন।
চন্দন মিত্রর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন “চন্দন মিত্র তাঁর বুদ্ধিমত্তা এবং দূরদর্শিতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সাংবাদিকতা এবং রাজনীতি- দুটি জগতেই তিনি মান্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি দুঃখিত। তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
প্রাক্তন সাংসদের মৃত্যুতে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “শ্রী চন্দন মিত্রের মৃত্যুতে শোকাহত। সাংবাদিকতা ও রাজনীতির জগতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”