পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বুধবার কুয়েতের একটি বহুতলে বিধ্বংসী আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫৩ জনের। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে ৪১ জন ভারতীয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন আরও অনেকে।মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন বাঙালিও।মৃত বাঙালির যুবকের নাম দ্বারিকেশ পট্টনায়েক। তিনি মেদিনীপুরের তুর্কগড়ের বাসিন্দা। ৪৫ জন ভারতীয়ের দেহাবশেষ নিয়ে কেরলের মাটি ছুঁয়ে দিল্লিতে পৌঁছায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ, কোচি বিমানবন্দরে পৌঁছায় ভারতীয় বায়ুসেনার ওই বিশেষ বিমান। যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর মধ্যে ২৩ জনই কেরলের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৭ জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পঞ্জাব, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র মানুষও রয়েছেন হতদের তালিকায়। এদিন তাঁদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার পর বেশ কিছুক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে রাখা হয়। তাঁদের শ্রদ্ধা জানান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘প্রবাসীরা’ কেরলের লাইফলাইন। এটি রাজ্য তথা দেশের জন্য বিশাল ক্ষতি। এই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হয়না।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী এম এ ইউসুফ আলি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এর আগে নিহত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে সম্ভাব্য সমস্ত সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।