পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দিল্লিতে একটি চার বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম অনিল পাঠক। ঘটনায় সরব হয়েছেন মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে মহিলা কমিশন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা একজন শ্রমিক। যখন মেয়েটি তার বাড়ি লাগোয়া উঠানে খেলছিল, সেই সময় অনিল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে তার বাড়ির কাছের একটি পার্কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ অনিল পাঠককে গ্রেফতার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ধর্ষিতা চার বছরের ওই শিশু।
বুধবার এই অপরাধের ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিল্লির বাইরে ভালসওয়া ডেইরিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা দিন আনা-দিন খাওয়া একজন শ্রমিক। অত্যন্ত গরীব পরিবার। ছোট্ট মেয়েটি তার বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় নিখোঁজ ডাইরি করা হয় পরিবারের তরফে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ দেখে মেয়েটিকে কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ তিনটি দল গঠন করে এবং তার ছবি অন্যান্য থানায়ও শেয়ার করা হয়। তার খোঁজ পেতে এলাকাতেও ঘোষণা করা হয়।
পরেরদিন ভোরে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসক নিশ্চিত করেন শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তর দিল্লি) দেবেশ কুমার মাহলা জানিয়েছেন, নিখোঁজের ডাইরি পাওয়ার পর সারারাত ধরে মেয়েটির খোঁজ চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দিল্লি কমিশন ফর উইমেনও (ডিসিডব্লিউ) এই ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল হিন্দিতে ট্যুইটে লেখেন, ‘পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে দিল্লিতে। তার বাড়ি ভালসওয়া ডেইরিতে থেকে অপহরণ করা হয়। পরে তার দেহ কাছের একটি লেকের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আমার টিম নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আছে। আমরা দিল্লি পুলিশকে একটি নোটিশ জারি করেছি যাতে অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হয়।’