পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃমধ্যপ্রদেশের খারগনে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় পুলিশ মোট ৯৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম। জারি রয়েছে কার্ফুও।
ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন। ১০ এপ্রিল বেরিয়েছিল রানবমীর মিছিল। সেই মিছিলে বাজছিল উচ্চস্বরে ডিজে।লাউডস্পিকারে ভেসে আসছিল হিন্দুত্ববাদী উস্কানিমূলক স্লোগান। সেই মিছিল তালাব চকের মসজিদের সামনে আসতেই চরমে ওঠে উত্তেজনা। একের পর এক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মুসলিমদের বাড়ি।
এই ঘটনায় খারগোনের পুলিশ সুপার সহ ১২জনের বেশি লোক আহত হয়েছে। প্রায় ১০টি বাড়ি এবং ধর্মীয় স্থান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫.১৫ মিনিটে রাম নবমীর সমাবেশ তালাব চকে পৌঁছায়। মোড়ে একটি পুলিশ পোস্ট এবং পোস্টের ঠিক সামনে একটি মসজিদ রয়েছে। প্রায় ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ হাজার মানুষ এই রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। রামনবমীর ওই শোভাযাত্রার পাশেই এসে পৌঁছায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আরও একটি শোভাযাত্রা। আয়োজকরা জানিয়েছিলেন তাঁরা বিকল্প পথ বেছে নেবেন। যেটি মুসলিম মহল্লার পাশ দিয়ে মূল রাস্তায় উঠে যাবে। অভিযোগ পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। এরপরেই চরমে ওঠে উত্তেজনা। শুরু হয় পাথর ছোঁড়াছুড়ি। সময়টা ছিল নামাজের, মসজিদ থেকে দেওয়া হচ্ছিল আজান। স্বাভাবিক ভাবেই মুসল্লিরাও সেই সময় জমায়েত হন। অভিযোগ মসজিদেও এসে পড়ে পাথর। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পুরো এলাকা। পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধুরীর পায়ে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। কিছু সময়ের জন্য উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব হলেও এরপর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ফের চরমে ওঠে উত্তেজনা। তালাবচকের সামনে দুই সম্প্রদায়ের মানুষই জড়িয়ে পরেন সংঘর্ষে। একের পর এক মুসলিম মহল্লার ঘরবাড়ি এবং দোকান পত্র জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এস পির দেহরক্ষীকে পাথর মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।